খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৬:মন্তব্য প্রতিবেদনঃ সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন ২০ দলের শীর্ষ নেতা বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক। তবে বৈঠকে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই ছিলেন অনুপস্থিত।
এ বিষয়ে ২০ দলীয় জোটের এক শীর্ষ নেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থায় কৌশলগত কারনে অনেকেই এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। আবার অনেক নেতারা সরকারের সাথে গোপন বৈঠক করছেন বলেও তিনি জানান। যার কারনে ২০ দলীয় জোট আজ বেশ ক্ষতিগ্রস্থ ও বিপর্যস্থ। এই নেতা আরও বলেন, এখান থেকে উত্তরণের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও জোট নেতা বেগম জিয়াকে কৌশলী হতে হবে। তা না হলে ২০ দলীয় জোট টিকিয়ে রাখা দুরূহ হয়ে পড়বে। তিনি দু:খ করে আরও বলেন, ছাগল দিয়ে হাল চাষ করা গেলে আর ষাঁড় এর দরকার হতো না! প্রসঙ্গত তার জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, অতীতে বিশ দলীয় জোটের মিটিংয়ে প্রায় সব দলের শীর্ষ নেতারাই উপস্থিত থাকতেন। কিন্তু এখন তারা তাদের প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন। যারা মোটেও কাম্য নয়।
এবিষয়ে আরও একাধিক জোটনেতা প্রায় অভিন্ন মন্তব্যই করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক শীর্ষ নেতা বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ব্যবসা-বানিজ্য রক্ষার জন্য ২০ দলীয় জোটকে কোরবানী করছেন। আবার কেউ কেউ সরকারের সাথে গোপ যোগাযোগ রক্ষা করে গাঁ বাঁিচয়েও চলছেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তোরণ এবং গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার যে সংগ্রাম বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চলছে, জোটের শরীক দলগুলো যদি সেই সংগ্রামে প্রতারনার আশ্রয় নেন তাহলে ২০ দলীয় জোট শুধু নামেই থাকবে; বস্তুত হয়ে পড়বে দেউলিয়া।
রাজনৈতকি বিশ্লেষকরা মনে করেন, চলমান আন্দোলনের সফলতার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে কালক্ষেপন না করে অত্যন্ত কৌশলে নিজের দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এবং বিএনপির বিশ^স্ত ও পরীক্ষিত নেতাদের নিয়েই আগামী দিনের কর্মসূচি প্রনয়ণ করতে হবে। তা না হলে নামে মাত্র ২০ দলীয় জোটের উপর নির্ভও কওে আন্দোলন সংগ্রামের পরিকল্পনা করলে তা কখনই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছবেনা। অন্যদিকে ধীরে ধীরে বিএনপি হয়ে পড়বে আরও দুর্বল।