খোলা বাজার২৪,বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৬: “নিরাপত্তাই আস্থার ঠিকানা” এ শ্লোগানকে ধারন করেই ৩৯ বছরে পা রাখল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
বুধবার বিকালে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনস মাঠে কেক কেটে সিএমপি’র ৩৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক।
চট্টগ্রাম মহানগরীর আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হল বুধবার।
আজ ১ ডিসেম্বর ৩৯ বছরে পা রাখছে পুলিশ বাহিনীর এ সংস্থা। চট্টগ্রাম মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৯৭৮ সালের ৩০ নভেম্বর প্রতষ্ঠা করা হয় সিএমপি। চট্টগ্রামের ৬০ লক্ষাধিক নগরবাসীর নিরাপত্তায় সিএমপিতে নিয়োজিত রয়েছেন সাড়ে ৫ হাজার পুলিশ সদস্য।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সাফল্য-ব্যর্থতার দীর্ঘ এ পথ পরিক্রমায় নগরবাসীর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদেরকে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুদায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে সিএমপি।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ১৯৭৮ সালের ১০ লক্ষাধিক নগরবাসীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত ৬টি থানা ও দুটি জোনে ভাগ হয়ে যাত্রা শুরু করে সিএমপি। তখন সব মিলিয়ে জনবল ছিল তিন হাজার ৬০০ জন। আর বর্তমানে নগরীর জনসংখ্যা ৬০ লক্ষাধিক। ২০০০ সালে নতুন আরও ৬টি থানা কার্যক্রম শুরু করলে থানার সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ টিতে। বর্তমানে সিএমপিতে কর্মরত রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পুলিশ সদস্য।
সিএমপি সূত্র জানিয়েছে, সাড়ে ৫ হাজার জনবল থাকলেও তারা সবাই সরাসরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জড়িত নন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ৪৬টি অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পাহারা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) প্রটোকল ও প্রটেকশন, চারটি স্ট্যান্ডবাই টিম, পুলিশ কন্ট্রোল রুম, রিজার্ভ অফিস, দামপাড়া পুলিশ লাইন, বোমা ইউনিটসহ বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে প্রায় দুই হাজার পুলিশ সদস্য।
এছাড়া ছুটি, প্রশিক্ষণ ও ব্যক্তিগত সমস্যায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুলিশ সদস্য কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকেন। জনবল সংকটসহ নানা সংকটের জন্য আরও ৪টি নতুন থানা, পৃথক পুলিশ লাইন, যানবাহনসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে চললেও এখনও তা আলোর মুখ দেখে নি।