খোলা বাজার২৪, শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬: বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে যে পরিমাণ অর্থ ধার করার লক্ষ্য ধরেছিল, তার ৮১ শতাংশের বেশি চার মাসেই নিয়ে ফেলেছে।
সঞ্চয়পত্র বিক্রি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই সরকারকে এই ঋণ বহন করতে হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে সুদ।
সর্বশেষ গত অক্টোবর মাসে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। অগাস্ট মাসে বিক্রি হয়েছিল আরও বেশি ৬ হাজার ৩২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
সেপ্টেম্বর মাসে বিক্রি হয়েছিল ৫ হাজার ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। আর অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিক্রি হয়েছিল ৪ হাজার হাজার ৯৩২ কোটি টাকার।
এ হিসাবে প্রতিদিন এখন গড়ে ২০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রির চাপ বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র কিনলে এক মাস পর ‘বই’ বা এ সংক্রান্ত ‘কাগজ (প্রমাণপত্র)’ দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।
আগে সকালে কিনলে বিকেলেই অথবা দু-একদিন পরেই বই বা প্রমাণপত্র দেওয়া হত।
অর্থনীতির একজন গবেষক বলছেন, ব্যাংকে আমানতের সুদের হার ক্রমাগত কমতে থাকায় সাধারণ মানুষ তাদের সঞ্চিত অর্থ বিনিয়োগের জন্য সঞ্চয়পত্র ছাড়া আর কোনো লাভজনক বিকল্প পাচ্ছে না।
“ফলে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে, বাড়ছে সরকারের ঋণের বোঝা, বাড়ছে সুদৃএতে সরকারের রাজস্ব বাজেটের ওপর চাপ পড়ছে,” বলেন বি আইডিএস এর গবেষক জায়েদ বখত।
তার মতে, এ থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে বাজেট ব্যবস্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।