খোলা বাজার২৪, শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬: শরীয়তপুর: নড়িয়া কাঞ্চনপাড়া এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩ দিনব্যাপী কীত্তন অনুষ্ঠানে গতকাল গভীর রাতে প্রধানমন্ত্রী,বঙ্গবন্ধু ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি সম্বলিত ব্যানারটি বিঝারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় নড়িয়া থানায় ২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়্ । বিঝারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন এ ঘটনা অস্বীকার করে বলছেন এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী ,বঙ্গবন্ধু ও সজিব ওয়াজেদ জয় এর ছবি ছিলনা। একটি প্রভাবশালী মহল ষড়যন্ত্র করে আমাকে সমাজে হেয় করার জন্য এধরনের মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
নড়িয়া থানা সূত্র ও নীলগুন কীত্তনের সভাপতি ডাঃ গোবিন্দ চন্দ জানান, নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া এলাকার নীলগুন গ্রামের ভানু বাছারের বাড়িতে গত ২ ডিসেম্বর থেকে ৩দিন ব্যাপী হিন্দুসম্প্রদায়ের কীত্তন শুরু হয়েছে। এখানে হিন্দু সম্প্রদায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার টানিয়ে রাখে।গত শুক্রবার গভীর রাতে বিঝারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক হাওলাদার ও একই এলাকার আবু ছৈয়াল সহ ৫/৬ জন লোক লাঠিসোটা নিয়ে কীত্তনের অনুষ্ঠানে ঢুকে ব্যানারটি টেনে ছিড়ে ফেলে দেয়। এ সময় কীত্তন কমিটির সভাপতি ডাঃ গোবিন্দ চন্দ্র দাস বাধা দিলে তাদেরকে গালিগালাজ করে এবং হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার রাতে সুভাষ চন্দ্র বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে বিঝারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, সুভাষ চন্দ্র মন্ডল কীত্তনের ব্যানারে তার নিজের ছবি টানিয়েছে। এটা দেখে হিন্দুদের একাংশ ক্ষুদ্ধ হয়ে ব্যানার ছিড়ে ফেলে। ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী,বঙ্গবন্ধু ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের কোন ছবি ছিলনা। ঘটনা শুনে আমি চেয়ারম্যান হিসেবে মিমাংসা করতে যাই। আমি বিঝারী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়াতে আমার উপর ঈষান্বিত হয়ে একটি প্রভাবশালী মহল আমাকে সমাজে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
নড়িয়া থানার ওসি মোঃ ইকরামুল হক বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। সত্য ঘটনা উদঘাটনের জন্য বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।