খোলা বাজার২৪, শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬: রাজশাহীর তানোরে বিজ্ঞ আদালতের রায়ে দীর্ঘ দিনের বসত-বাড়ী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার পর্যান্ত চলছে উচ্ছেদ অভিযান। দীর্ঘ দিনের বসত-ভিটা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যেন শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। উপজেলার মুন্ডুমালা বাজারে ঘটে এই উচ্ছেদের ঘটনা। হঠাৎ এমন উচ্ছেদের ঘটনায় এলাকায় দেখা দেয় ব্যাপক চাঞ্চল্যতা। সেখানে গিয়ে দেখা যায় মুন্ডুমালা থেকে আমনূরা যাওয়ার পথে রাস্তার উত্তরে এবং মাদ্রাসা মার্কেটের উত্তরে অন্তত ৭-৮ জনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ৬ জনের বসতবাড়ী উচ্ছেদ করা হয়েছে। মুন্ডুমালা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে রড, সিমেন্ট, টিন সহ হার্ডওয়ারের নাজিবুর প্লাষ্টিক ফার্ণিচারের আজিজুল হার্ডওয়ারের ও শরিফুল সহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী তেলের ডিপু ও হার্ডওয়ারের ব্যবসা করে আসছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ১ বিঘার জমির উপর ৬০-৬৫ বছর ধরে বসত-বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করছেন মোফাজ্জুল, তোফাজ্জুল, তোজাম্মেল, নাজমুল রেজানুর। সাদিপুর মৌজায় ২৬ শতাংশ ও খাস রয়েছে ১০ শতাংশ জমি। তাদের দাবী বৃহঃবারে উচ্ছেদে আসেন ম্যাজিষ্ট্রেট।
আমাদেরকে মালামাল সরানোর সময় দেওয়া হয়নি এবং উচ্ছেদের কোন নোটিশও দেওয়া হয়নি। তবে উল্টো অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। তারা জানান, জায়গার মালিক ডাক্তার জালাল উদ্দিন ও আলহাজ্ব মহসিন আলী। তারা অনেক দিন ধরে আপোষ-মিমাংসার কথা বলে আসছেন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা তাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। আদালত থেকে নোটিশ আসলেও তারা গ্রহণ করেন না। এ সব অভিযোগ মানতে নারাজ ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা। তাদের দাবী কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান নষ্ট করতে চায় না। জায়গাগুলির মালিকানা দাবী করে ডাক্তার জালাল উদ্দিন ২০-২২ বছর আগে মামলা করেন ডাক্তার জালাল উদ্দিন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত রায় দিয়ে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। বণিক সমিতির সভাপতি ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল কাদের জানান, আদালতের রায় সবাইকে মানতে হবে। কিন্তু মানবিক বিবেচনার জন্য আমাদেরকে মালামাল সরানোর সময় দেওয়া উচিত ছিল। অবশ্য ৩-৪ মাস আগে মামলার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিলের আরজির আবেদন করেছেন রেজানুর ও মোফাজ্জুল।