খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬:
কিছুদিন আগেই কর ফাঁকির মামলায় হাজতবাসের খুব কাছ থেকে ঘুরে এসেছেন লিওনেল মেসি। একই অপরাধের গাড্ডায় পড়ে আছেন ব্রাজিলের তারকা নেইমারও। কর ফাঁকির বিতর্কে এবার যোগ হয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর নাম। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার নাকি ফাঁকি দিয়েছেন ১৫ কোটি ইউরো। পুরো বিষয়টিই নাটকীয়ভাবে ফাঁস হয়েছে ইউরোপের কতগুলো সংবাদপত্রের হাতে আসা গোপন নথি থেকে। রোনালদো সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকই, কিন্তু ইউরোপীয় সংবাদপত্রের আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারবাসও করতে হতে পারে পর্তুগিজ তারকার।
রোনালদোর কারাবাসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে বিষয়টিতে স্পেন সরকারের হস্তক্ষেপের পর থেকে। স্পেন সরকারই রোনালদোর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে বলেছে।
সরকারের নির্দেশ পেয়ে পুরোদমে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্পেনের রাজস্ব বিভাগ গেস্থা। গেস্থার সচিব হোসে মারিয়া মলিনেদো বলেছেন, রোনালদো দোষী প্রমাণিত হলে ছয় বছর জেলের ঘানি টানতে হতে পারে।
রোনালদো নিজে দোষ স্বীকার করলে অবশ্য শাস্তির মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। স্পেনে অহিংস অপরাধের ক্ষেত্রে শাস্তির মেয়াদ ২৪ মাসের কম হলে তাঁকে কারাবাস করতে হয় না। এর আগে কর ফাঁকির একই ঘটনায় লিওনেল মেসির ২১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বার্সেলোনা তারকাকে কারাবাস করতে হয়নি।
এদিকে কর ফাঁকির বিতর্কে নিজের ক্লাব রিয়ালকে পাশেই পাচ্ছেন রোনালদো। রিয়ালের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে তাদের এই তারকার সর্বোচ্চ সম্মানই প্রাপ্য। রিয়াল মাদ্রিদের দেওয়া এক বিবৃতিতে নিয়মিত কর পরিশোধের ক্ষেত্রে রোনালদোকে যেকোনো করদাতার জন্যই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
রোনালদোর এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেজ বলেছেন, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিপক্ষে আনা কর ফাঁকির যাবতীয় অভিযোগই মিথ্যা। রোনালদো প্রতি বছর কর দিয়ে গেছেন নিয়মিতই।