Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬: 39 চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক উপর হামলা চালিয়ে উগ্রপন্থি উৎশৃঙ্খল হিন্দু যুবকরা। তাদের হামলা আহত হয়েছেন এক পুলিশসহ ৪ সাংবাদিক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে। হামলার সাথে জড়িত ৪ যুবককে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে।ঘটনার সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা জানায়, ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজ, বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের ওপর এ হামলা চালানো হয়।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরোয়ার হামলার বিষয়টি স্বীকার করে এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ এবং তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন।আটক চারজন হল, অজয় দত্ত (২০), নয়ন সরকার (২১), পিয়াল শর্মা (২০) ও অনুভব মজুমদার (২১)। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলাকারীদের নিবৃত করতে গিয়ে কোতয়ালি থানার এসআই বিকাশ চন্দ্র শীলও মাথায় আঘাত পেয়েছেন।

সাংবাদিকরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে প্রেসক্লাব ভবনের প্রধান ফটক এবং সামনের সড়ক অবরুদ্ধ করে মানববন্ধন করছিল তারা। এসময় সাংবাদিকরা প্রেসক্লাব ফটক ও সড়ক বন্ধ না করার অনুরোধ করলে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা শুরু করে। সাংবাদিকের গাড়ি ভাংচুর করে আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালায় উৎশৃঙ্খল যুবকরা। পুলিশ সাংবাদিকরা হাতজোর করে মিনতি জানিয়ে রক্ষা পায়নি। তারা কর্তব্যরত ফটো সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ছবি মুছে ফেলে। প্রেসক্লাব ভবনের দ্বিতীয় তলায় উঠে ভাঙচুর এবং মারধরের চেষ্টা করে।

নগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমরা খুব গুরত্বের সঙ্গে নিয়েছি। ইতোমধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বাকিদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। হামলায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার বলেন, হামলাকারী যুবকরা প্রেসক্লাবের দোতলায় উঠে আসে। সে সময় বারবার তাদেরকে থামতে বললেও তারা আমাদের সঙ্গেও ঐদ্ধত আচরণ করে। হামলাকারী বাংলানিউজের ফটো সাংবাদিক উজ্জ্বল ধর এবং সিনিয়র রিপোর্টার রমেন দাশগুপ্তকে প্রেসক্লাব থেকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকে। ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলাম রাস্তা থেকে প্রেসক্লাবে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ হামলা চালায়। কিন্তু তারা প্রেসক্লাবে ঢুকে হামলার সাহস করেনি।

এ ঘটনায় হামলাকারীদের হাতে লাঞ্চিত হন বাংলা নিউজের ফটো সাংবাদিক উজ্জল ধর, ডেইলি স্টারের অনুরুপ টিটু ও সপ্রভাত বাংলাদেশের হেলাল উদ্দিন সিকদার এবং বাংলানিউজের সিনিয়র রিপোর্টার রমেন দাশগুপ্ত।

পরে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতা চাওয়া হয়। সিএমপি কমিশনারের নির্দেশে নগর পুলিশের উপ কমিশনারের (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া দেয়।