খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬: বৃহস্পতিবার রাতে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর আজ শুত্রবার ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপ।
শুক্রবার সকালে এ শাহ জালাল হলের সামনে সভাপতি পক্ষের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ফাহিম হাসান নাস্তা করার সমায় সাধারণ সম্পাদক সুজনের অনুসারীরা ফাহিম কে একা পেয়ে কাঁচের বোতল দিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় সে শাহ জালাল হলে চলে যাওয়ার পর সভাপতি টিপুর অনুসারীরা হলের সামনে জড়ো হয়ে সাধারণ সম্পাদক সুজনের অনুসারীদের ধাওয়া দেয়।
এসময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দু’পক্ষ আবারো সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে এবং একে অপরকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তবে এতে কেউ আহত হবার খবর পাওয়া যায় নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান নেয়।
এতে সভাপতি পক্ষের একজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে
ছাত্রলীগের দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে দুপুর দেড়টা থেকে প্রক্টোরিয়াল বডির উপস্থিতিতে দুই হলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ। তল্লাশি অভিযানের বিষয়ে সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বার্তা সংস্থা এনবিএসকে বলেন, এখনো তল্লাশি চলছে। বিস্তারিত তল্লাশি শেষে জানানো হবে। তবে এ পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয় নি
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের সামনে সাংবাদিকদের মারধর করেছে ছাত্রলীগ। বুধবার গভীর রাতে কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর একটি অভিযোগ পত্রও দিয়েছে চবি সাংবাদিক সমিতি।
এদিকে প্রতিবাদ ও ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করে বিকেলে চবি সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক রাহাত ও সাধারণ সম্পাদক রহমান শোয়েবসহ কর্মরত সাংবাদিকরা প্রক্টর অফিসে এ অভিযোগ পত্র দেন।
অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক। সে নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।