খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬: একটি নির্দিষ্ট বয়সকালে সব মানুষেরই চুল পাকা শুরু হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে কম বয়সে আবার কারো কারো ক্ষেত্রে একটু বেশী বয়সে চুল পাকা শুরু হতে পারে এবং এটি কোন রোগ নয়। কিন্তু যে বয়সে চুল পাকার কথা তার আগেই কারো চুল পাকলে সেটা স্বাভাবিকতার পর্যায়ে পড়ে না। যেমন ২০, ২৫ কিংবা ৩০ বছর বয়সে চুল পাকাটা স্বাভাবিক চুল পাকা নয়, বরং এটি একটি রোগ। খুব সহজেই প্রাকৃতিক কিছু উপাদান সঠিক নিয়মে ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন তাহলে জেনে নিই এর উপায়:
চিকিৎসাঃ
১) এক চামচ আমলকী চূর্ণ এক কাপ পানির সাথে মিশিয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার ঠিক পূর্বে নিয়মিত খেলে অসময়ে চুল পাকা বন্ধ হয়। চেহারায় লাবণ্য ফিরে আসে। গলার স্বর বিশুদ্ধ ও মিষ্টি হয়। স্বরভঙ্গ থাকলে তা দুর হয়ে যায়।
২) শুকনো আমলকীর গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে তা মাথায় প্রলেপ দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই নিয়মে সপ্তাহে ২ দিন স্নানের পূর্বে কমপক্ষে তিন মাস লাগালে অসময়ে চুল পাকা রোধ করা সম্ভব।
৩) আমলকীর জলে নিয়মিত মাথা ধুলে অসময়ে চুল সাদা হওয়া বন্ধ হয়। ২৫ গ্রাম শুকনো আমলকী মোটা মোটা করে ভেঙ্গে নিয়ে ২৫০ গ্রাম পানিতে রাতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে হাত দিয়ে ভালো করে কচলিয়ে নিয়ে সমস্ত পানি একটা পরিস্কার কাপড়ে ছেঁকে নিন। তারপর থিতিয়ে গেলে ঐ পানি নিয়ে চুলের গোড়ায় ভালো করে মালিশ করুন ঘষে লাগান। ১৫/২০ মিনিট পর সাধারন পানিতে মাথা ধুয়ে ফেলুন। চুল রুক্ষ্ম হলে সপ্তাহে একবার এবং চিকন চুল হলে সপ্তাহে ২ বার এভাবে আমলকীর জল মাথায় মালিশ করবেন। প্রয়োজনে দিন কয়েক রোজ ধুতে পারেন। এছাড়া চুল ধোয়ার নির্দিষ্ট দিনের পূর্বের দিন রাতে মাথায় আমলার তেল মালিশ করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়।