খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬: শুটকি তৈরির জন্য সবচে উপযোগী আবহাওয়ার সুযোগে কর্মব্যস্থ হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার কলাপাড়াসহ উপকূলীয় শুটকিপল্লীগুলো। আর কেমিকেল মুক্ত হওয়ায় দেশের গ-ি পেরিয়ে বিদেশেও রয়েছে এসব শুটকির দারুণ কদর। কিন্তু জলদস্যুদের উৎপাতে মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং সঠিক বাজার দর না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এর সাথে জড়িতরা।
তবে, জলদস্যুদের উপদ্রব বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে বলে জানালেন জেলার মৎস্য কর্মকর্তা।
দেশের অন্যতম শুটকি উৎপাদন কেন্দ্র কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত। জেলেরা সমুদ্র থেকে ২০ থেকে ২২ প্রজাতির মাছ আহরণের পর এখানকার শুটকি পল্লীগুলোতে পরিষ্কার করে লবণ মাখিয়ে, রোদে শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয়। আর কোন প্রকার রাসায়নিক পদার্থ ও ফরমালিন ব্যবহার না করায় এখানে উৎপাদিত শুটকির কদর দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও।
তবে সময় বদলেছে। সমুদ্রে জলদস্যুদের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় কমে গেছে মাছের যোগান। আর সঠিক বাজার দর না পাওয়ায় দিন দিন এই শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বন্ধ হওয়ার পথে শুটকি পল্লীগুলো।
এখনো ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রি ভাল হচ্ছে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় নিরাপদ শুটকি উৎপাদনে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানালেন পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ডঃ মোঃ আবুল হাছানাত।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ৮টি শুটকিপল্লীতে ৫শ’ পরিবারের ২ হাজার মানুষ এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। সূত্র: সময়টিভি