Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬: 40পরকিয়া এবং দুর্নীতির দায়ে সম্প্রতি ক্লোজ হওয়া দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ ট্রান্সফরমার চুরির দায়ে গনধোলই খেয়ে জেল খেটেছিলেন।
২০০৯ সালে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে চাকুরিরত অবস্থায় ট্রান্সফরমার চুরির দায়ে গনধোলাই ও জেল খাটার ঘটনা ঘটে বলে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০০৯ সালের জিএম মুহাম্মদ মনজুর উর রশীদের প্রতিবেদন স্মারক নং-কুড়িলাপবিস/১০০.২৭/২০০৯/৩৯৭ অনুযায়ী জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩১জানুয়ারী নাগেশ্বীর আশরাফুল আলমের রাইস মিলের তিনটি ১০ কেভি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। ঘটনার ১ ফেব্রুয়ারী আশরাফুল আলম এক চোরকে আটক করে মঞ্জুয়ার ভিটা গ্রামের আরেক চোর জহুরুল হকের বাড়ি থেকে ট্রান্সফরমার তিনটি উদ্ধার করে। আটক চোর গ্রামবাসীকে জানায় যে, ডিজিএম আবুল কালাম আজাদের নির্দেশনায় তারা তিনটি ট্রান্সফরমার চুরি করেন। খবর পেয়ে ওই গ্রামের দুরে থেকে অবস্থান করছিলেন ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ। গ্রামবাসী আবুল কালাম আজাদকে দেখতে পেয়ে গনধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ এবং চোরকে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনায় আশরাফুল আলম বাদী হয়ে ডিজিএম আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পুলিশ আবুল কালাম আজাদকে আদালতে পাঠালে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়। ৮ ফেব্রুয়ারী জামিন পান ট্রান্সফরমার চোর ডিজিএম আবুল কালাম আজাদ।
এ ঘটনায় আবুল কালম আজাদকে দ্রুত অন্যত্র বদলী এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের লিখিত অনুরোধ জানান সমিতির তৎকালিন জিএম মুহাম্মদ মনজুর উর রশীদ।
ঘটনায় কিছুদিন সাময়িক বহিস্কৃত থাকার পর সিলেটে বদলী করা হয় আবুল কালাম আজাদকে। সেখান থেকে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর রানীগঞ্জ জোনাল কার্যায়ে ডিজিএম হিসেবে বদলী হয়ে আসেন আবুল কালাম আজাদ। এসে ব্যপক অনিয়ম, দুর্নীতি আর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মরত এক বিবাহিত নারীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন আবুল কালাম আজাদ। সর্বশেষ গত ৫ অক্টোবরে পার্বতীপুরে বদলী করা হয় আজাদকে।ব্যপক অনিয়ম দুর্নীতি আর পরকিয়ার অভিযোগ গত ৫ ডিসেম্বর পার্বতীপুর থেকেও প্রত্যাহার করা হয় ডিজিএম আবুল কালাম আজাদকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে আবুল কালাম আজাদ ছিলেন প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতিবাজ। বারবার দুর্নীতি করে ধরা পরলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় বিভিন্ন অপকর্মে বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন আবুল কালাম আজাদ।