খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬: প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আয়ে ধসের মৌসুমে আশার আলো দেখাচ্ছে রপ্তানি আয়। অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এ অর্জন ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট নয় বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
সংগঠন দু’টির কর্তাব্যক্তিরা মনে করেন, জ্বালানি নীতিমালা ও বিশ্ববাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে টাকার অবমূল্যায়নের বিষয়টি বিবেচনা করলে আগামীতে প্রবৃদ্ধি আরো বেশি হবে।
দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ যোগানদাতা তৈরি পোশাক খাত। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে যে ৬ দশমিক ৩০ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে তার ৮১ ভাগই এসেছে এখাত থেকে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন না হলে রপ্তানি আয় আরো বাড়তে পারতো বলে মনে করে বিজিএমইএ।
পোশাক ছাড়াও উল্লেখযোগ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে অন্য খাতেও। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, পাট ও পাটজাত পণ্যে ৭ দশমিক ৯৮, হিমায়িতখাদ্যে ৭ দশমিক ১৬, কৃষিজাত পণ্যে ২ দশমিক ১৮ এবং হোম টেক্সটাইলে শূণ্য দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে এসব পন্যের সম্মিলিত অবদান ১৯ শতাংশ। বিষয়টিকে সুখকর কিংবা টেকসই প্রবৃদ্ধির লক্ষণ মনে করছেন না এফবিসিসিআই সভাপতি।
রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হলেও ২০২১ সালের মধ্যে ৫ হাজার কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের তুলনায় এখনো অনেক কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জ্বালানি নীতিমালা ও রপ্তানিকারকদের যথাযথ প্রণোদনা দেয়া গেলে প্রবৃদ্ধি বাড়ানো সম্ভব।
সুত্র: চ্যানেল ২৪