খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পালিত হয়েছে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের ৪৫ তম শাহাদৎ বার্ষিকী। এই উপলক্ষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
বুধবার সকালে জেলা শহরের মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত সড়ক ও জনপদ বিভাগের কার্যালয় প্রাঙ্গনে বীরশ্রেষ্ঠের শাহাদাৎস্থলে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও প্রথম আলো-বন্ধুসভাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান, পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেরাজুল ইসলাম, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরের ভাগ্নে নাজমুল হক উপস্থিত ছিলেন। পরে বিভিন্ন সংগঠন সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া করা হয়। পরে প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুরা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ শেষে সেখানে আবৃত্তি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ সময় কবিতা আবৃত্তি করেন বন্ধুসভার নারী বিষয়ক সম্পাদক মারিয়া হাসান বর্ষা ও ৭১’এর চিঠি থেকে আবৃত্তি করেন বন্ধু ফারাহ দিবা বর্ণ। আলোচনা সভায় অংশ নেন বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি সাঈদ মাহমুদ, বর্তমান সহসভাপতি আলী উজ্জামান নূর, যুগ্ন সম্পাদক সোনিয়া খাতুন, অনুষ্ঠান সম্পাদক শাহজাহান প্রামাণিক, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন দিলু প্রমূখ।
এছাড়াও দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডেরের আয়োজনে শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ প্রাঙ্গনে বীরশ্রেষ্ঠের সমাধিতে পুস্পার্ঘ অর্পন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হাসান, পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলামসহ অন্যরা।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীর দক্ষিণ তীরে রেহাইচর এলাকায় সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। ওই দিন শহরকে শত্রুমুক্ত করতে চূড়ান্ত যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ সোনামসজিদ প্রাঙ্গনে সমাহিত করা হয়।