খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬:
পূর্ব শত্র“তার জের ধরে কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানা সদরে দু’শিক্ষকসহ এক মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছেন ইউনিয়ন ছাত্রদল সম্পাদক ভূমিদস্যু নামে খ্যাত মোহাম্মদ আলী এবং তার ক্যাডার বাহিনীর ১০/১৫ জন সদস্য। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহতদের স্বজনরা জানান, কচাকাটা থানার ১৪নং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইসলামপুর গ্রামের মো.হযরত আলীর তিন পুত্র ভূমিদস্যু মোহাম্মদ আলী,মো.ইয়াছিন আলী ও মো. আব্দুল হাই’দের সঙ্গে একই গ্রামের হাজী মো.জাকারিয়া মিয়ার পুত্র রিয়াজুল ইসলাম মাস্টার (৩৮) ও মৃত তৈয়ব আলীর পুত্র মোসলেম উদ্দিন মাস্টার (৪০)দের সাথে জায়গা- জমি সংক্রান্তে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার (১৪ই ডিসেম্বর) সকাল আনিমানিক ১০টার দিকে রিয়াজুল মাস্টার কচাকাটা বাজারে অবস্থিত তার দোকান দেখতে গেলে ঐ বিরোধের জের ধরে ছাত্রদল ক্যাডার মোহাম্মদ আলী ও তার আপন দুুই ভাই ইয়াছিন আলী এবং আব্দুল হাইসহ ১০/১৫জন সন্ত্রাসী একজোট হয়ে পিস্তল,দেশীয় ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে তার উপর চড়াও হয়। মোহাম্মদ আলী তার হাতে থাকা পিস্তল উঁচিয়ে অন্যান্য সঙ্গিদের রিয়াজুল মাস্টারকে মেরে ফেলার হুকুম দেয়। তার হুকুমে সন্ত্রাসীরা ওই মাস্টারকে এলোপাথারি ভাবে মারডাং করতে থাকলে শোরগোল শুনে মোসলেম মাস্টার এগিয়ে আসে। সন্ত্রাসীরা তাকেও মারডাং শুরু করে। ইয়াছিন আলী রিয়াজুল মাস্টারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় লোহার রড দ্বারা আঘাৎ করালে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন এবং জ্ঞান হারান। এ অবস্থায় তার ভাই আতাউর রহমানের স্ত্রী সাবিয়া বেগম রিয়াজুলকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তার উপরও চড়াও হয় এবং মাথা-শরীরসহ নিচ পেটে আঘাৎ করে ও শালীনতাহানীর করার চেষ্টা চালান। তাদের আর্তচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলেও তারা কেউই সাহায্য করার সাহস পাননি। পরে এলাকাবাসি থানায় ফোন দিলে পুলিশ আসার খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা আহতদের খুন করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে তাদের স্বজনদের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য প্রথমে ভুরুঙ্গামারী থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে ডাক্তার জরুরি ভিত্তিতে রোগীদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফারড করে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। আহতদের স্বজন মো.সামসুল আলম মাস্টার জানান,উক্ত মোহাম্মদ আলীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় ভূমিদস্যু চাঁদাবাজিসহ একাধিক সন্ত্রাসী মামলা রয়েছে। মোহাম্মদ আলী ওইসব মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে আটক ছিলেন। অতি স¤প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। অন্যান্যরা স্বজনরা জানান, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মোহাম্মদ আলী গং এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিলেন। আইনগত ব্যাবস্থা নিলে প্রান নাশের হুমকির কারনে আহতদের পরিবারবর্গ উক্ত সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন এবং জীবনের নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।