খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬:
ত্রিশাল : ত্রিশাল উপজেলার বাগান গ্রামের ছোরহাব আলী (৬৫) প্যারালাইজট রোগী হয়েও দীর্ঘদিন যাবৎ ভুমি অফিসের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছিলেন সহযোগিতার আশায়। উপায় না দেখে আদালতের সরনাপন্ন হয়ে নিস্পত্তি করে আসলেও নামজারি করতে গিয়ে ত্রিশাল ইউনিয়ন ভুমি অফিসের দালালদের খপ্পরে পরে তিন মাস ধরে নানা প্ররোচনা দিয়ে ঘুরাচ্ছিল। বিষয়টি ত্রিশাল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি দৃষ্টিতে আসতেই এগিয়ে গেলেন সমাধানের জন্য। অতি অল্প সময়ে সমাধান করায় ভুক্তভোগী ছোরহাব নিয়ে আসলেন একগুচ্ছ ফুল। শুভেচ্ছা ও দোয়া করলেন এই সরকারী কর্মকর্তার জন্য।
জানাযায় উপজেলার বাগান গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ব্যংক কর্মকর্তা ছোরহাব আলী, তার স্ত্রী নাজমা বেগম ও তার ছেলে কামরুজ্জামানের নামে নিজ গ্রামের দশ শতক জমি ভুল করে তার নিজে নামে রেকর্ড হয়। ২০১৬ সালে এটি সংশোধনের জন্য উপজেলা ভুমি অফিসে আসলে তার কাছে দালালরা ৬০ হাজার টাকা দাবী করে। না দিলে আদালতের সরনাপন্ন হতে বলে। উপায় না দেখে বৃদ্ধ ছোরহাব আলী আদালত থেকে এক বছরে তা সংশোধন করে আনে। পরে এ বছর জুন মাসে তা নামজারি করার জন্য ত্রিশাল ইউনিয়ন ভুমি অফিসে আবেদন করে। টাকা না দেয়ায় তার জমাখারিজ হচ্ছিলনা বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি আব্দুল্লাহ আল মামুনের দৃষ্টিতে আসলে তিনি নিজে বৃদ্ধকে ঢেকে এন এক সপ্তাহের মধ্যে তার জমাখারিজ সহ জমি সংক্রান্ত ঝামেলা শেষ করে। খুশি হয়ে বৃদ্ধ ছোরহাব আলী এসিল্যান্ডের জন্য এক গুচ্ছ ফুল উপহার নিয়ে আসে।
এ সময় আবেগ আব্লুত হয়ে বলেন আমি অসুস্থ বৃদ্ধ মানুষ। জমির ঝামেলা নিয়ে ভুক্তভোগী হতে হয় দীর্ঘদিন। আমি এরকম অফিসার কম দেখেছি যারা ভুক্তভোগীকে ঢেকে এনে তাদের সমস্যা সমাধান করে দেয়।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী সোরহাব আলীর ছেলে কামরুজ্জামান জানান ৫০ হাজার টাকার জন্য আমাদের আদালতে দৌড়াদেীড়ি করতে হয়েছে। এখন বিষয়টি সমাধান হওয়ায় ভুমি অফিস সম্পর্কে মানুষের ধারনা পাল্টে গেছে।
এ ব্যপারে উপজেলা সহকারী কমমিশনার ভুমি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে সচ্ছতা ওজবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছি। প্রতি সপ্তাহে সেবাগ্রহিতার জন্য গন শুনানির মাধ্যমে ফাইলের জট নিরসন করেছি। ভুমি অফিসে নামজারি ও অন্যান্য বিষয়ে সেবা প্রদানের জন্য আলাদা হেল্প ডেক্স এবং ইউনিয়ন অফিসগুলো নিয়মি তদারকির ব্যবস্থা করেছি। সোহরাব আলী দীর্ঘদিনের ভুক্তভোগী বিষয়টি আমি শুনার সাথে সাথে ঢেকে এনে সমাধানের চেষ্টা করেছি।