Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলেছেন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামান।

মামলার বাদী হিসেবে ডাকার পর তিনি বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামে নগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে যান।
সেখানে আইও মিতু হত্যা মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কথা বলেন বাবুল আক্তারের সঙ্গে।
স্ত্রী খুনের প্রায় সাত মাস পর বাবুল আক্তার অত্যন্ত গোপনে চট্টগ্রামে যান। চট্টগ্রামে বাবুল আক্তার গেছেন এমন গুঞ্জন শুরু হয় সকাল থেকেই।
সিএমপির বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে আলাপ করলেও তারা এ বিষয়ে কিছু স্বীকার করেনি। কেউ বলেছেন, কোন মামলায় সাক্ষ্য দিতে চট্টগ্রাম আদালতে এসেছেন বাবুল আক্তার। কেউ বলেছেন, মিতু হত্যা মামলার বিষয়ে কথা বলতেই তদন্তকারী সংস্থার ডাকে সাড়া দিয়ে সিএমপিতে যান তিনি।
শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়ার পর মিতু হত্যা মমলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সিএমপিতে গেলেও বাবুল আক্তার পুলিশ কমিশনার বা এডিশনাল কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেননি। আইওর সঙ্গে কথা বলে প্রাইভেটকারে সিএমপি ত্যাগ করেন তিনি।
আইও কামরুজ্জামান বলেন, ‘মামলার বাদী হিসেবে বাবুল আক্তারকে আমরা ডেকেছিলাম। আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি সিএমপিতে এসেছেন। আমি তাকে মিতু হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। যা যা জানতে চেয়েছি তার উত্তর দিয়েছেন বাবুল আক্তার।’
তবে সুনির্দিষ্ট কোন কোন পয়েন্টে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বা মামলার বাদী হলেও এ হত্যাকাণ্ডে তার ইন্ধন থাকা বা জড়িত থাকার অভিযোগ কতটুকু সত্য- এসব বিষয়ে কোনো কথা বলেছেন কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি আইও।
চলতি বছরের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসির মোড়ে প্রকাশ্যে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।