খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬: গণতন্ত্রের পরিসর বাড়ানোর জন্যই নাসিক নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করেছে বলে জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
শনিবার নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের আর মাত্র চার দিন বাকী। সংকুচিত গণতন্ত্রের পরিসর বাড়ানোর জন্যই নাসিক নির্বাচনে বিএনপি’র অংশগ্রহণ। নারায়ণগঞ্জবাসী ভোটারবিহীন সরকারের ধারাবাহিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ও মানুষের ভোটাধিকার হরণের জবাব দিতে প্রস্তুত হয়ে আছে। সকল যুগে আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন পূর্বাপর অভিঘাতে বিদীর্ণ।”
ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে কখনই নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কোন কালেই আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু নির্বাচনের ঐতিহ্য নেই। ওই ঐতিহ্য তাদের উত্তরসূরীরা এখনও বহন করে চলছে। ৭৫’ এর একদলীয় বাকশালের পুণরুজ্জীবন ঘটিয়ে বর্তমানে যে ভয়াবহ দুঃশাসন, দেশজুড়ে লুটপাটের মহোৎসব, রাজকোষ লোপাটসহ বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ, গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ, কথা বলতে গেলেই মামলা-হামলা-কারানির্যাতন, নির্যাতন-নিপীড়ণ, গুম, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ চলছে তার বিরুদ্ধে রায় দিতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ।”
নাসিক নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “নারায়ণগঞ্জের সর্বত্রই এখন একটিই আলোচনা-কিভাবে সন্ত্রাসকবলিত এলাকা নারায়ণগঞ্জের মানুষ আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভয়ভীতিমুক্ত থেকে ভোট প্রদান করবে, সেটি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে দেশবাসী। নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেলেও সন্ত্রাসীরা তাদের সহিংস ভঙ্গি প্রদর্শণের নানা আলামত ফুটে উঠছে। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুনের মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।”
ভোটাররা এখনও শঙ্কা মুক্ত নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যেহেতু নাসিক নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় ভোটাররা এখনও শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না, যেহেতু নির্বাচনী এলাকায় অস্ত্রধারীরা নীরবে অবস্থান করছে, সেহেতু ভোটের কয়েক দিন আগে থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ কী রঙ ধারণ করবে তা নিয়ে সংশয় জনমনে বিদ্যমান।”
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।