খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬:
দক্ষিণ চীন সাগরে চালকবিহীন একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ আটক করেছে চীন। খবর বিবিসি, রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ানের।
পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলছেন, ইউএসএসএস বোডিচের কাজের অংশ হিসেবে আমেরিকান জাহাজটি সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল।
ফিলিপাইনের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজটি তথ্য সংগ্রহের কাজ করছিল। চীনের সৈন্যরা একটি ছোট নৌকায় এসে বৃহস্পতিবার এটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে পেন্টাগনের দাবি।
পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলছেন, ওশেন গ্লাইডার নামের ওই ডুবোযানটি পানির লবণাক্তটা আর তাপমাত্রা পরীক্ষার কাজ করে থাকে।
শুক্রবার এক প্রেসব্রিফিংয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস বলেন, ‘দ্য ইউইউভি নামের যুদ্ধজাহাজটি সব ধরনের আইন মেনে দক্ষিণ সাগরে সামরিক জরিপের কাজ করছিল। হঠাৎ করে চীনের সৈন্যরা এসে সেটি নিয়ে গেছে।’
জাহাজটি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চীনের কাছে দাবি জানিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের এ আচরণে কূটনৈতিক প্রতিবাদও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে এখন পর্যন্ত বেইজিং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রতিবেশী ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের আপত্তি সত্ত্বেও দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে চীন।
সেখানে একটি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে চীন, যা নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ওই দ্বীপে সামরিক অস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে।
ওই এলাকা আন্তর্জাতিক জলসীমার অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, সেখানে সবার যাতায়াতের অধিকার রয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের মধ্যে টেলিফোনে আলাপ হয়। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনার তৈরি হয়।
এতদিন ধরে যে এক চীন নীতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র, নতুন প্রশাসনে তার পরিবর্তন হতে পারে বলে চীনের আশংকা রয়েছে।