খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের ত্রুটির পেছনে গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। এটি মনুষ্যসৃষ্ট। তবে তা ইচ্ছাকৃত কী না তা এখনো স্পষ্ট না। পুরো প্রতিবেদন পড়ে জানানো যাবে।
রোববার বিকাল সোয়া ৩টায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন নিজ কার্যালয়ে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘কমিটি ৪৮ পাতার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আমরা সকালে এটি হাতে পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় এরই মধ্যে ৯ জনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। তদন্তে আরো নাম আসতে পারে। দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
‘এক্ষেত্রে দোষীদের বিরুদ্ধে নাশকতার বা রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয় কী না তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করা হবে। তার আগে তিনটি প্রতিবেদন সমন্বয় করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে মোট ২৪টি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে নিরাপত্তা সুপারিশ ৭টি, ভিভিআইপি ফ্লাইটের নিরাপত্তা বাড়ানোর সুপারিশ ৪টি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সংক্রান্ত সুপারিশ ৩টি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় এই তদন্ত প্রতিবেদন রাশেদ খান মেননের কাছে জমা দেন কমিটির সদস্যরা।