Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬:50
মামুনুর : ময়মনসিংহের ত্রিশালে বৃক্ষরোপনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দিয়ে গাছের পরিচর্যায় হেলড কার্ড ব্যবহারে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে প্রায় নব্বই শতাংশ চারা পরিচর্যায় শিক্ষার্থীরা সফলতা দেখিয়েছে। ইতি মধ্যে প্রতি ইউনিয়নে সেরা পুরস্কার প্রদান করছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
জানাযায়, বাংলাদেশে এই প্রথম একযোগে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন লক্ষ শিক্ষার্থীর হাতে গাছে চারা ও একটি করে হেলড কার্ড বিতরন করা হয়। কার্ডটি শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে পুরন করে তার রোপনকৃত গাছ সম্পর্কে লিখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। এ হেলড কার্ড পরিদর্শন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে দেয়া হয় পুর¯কার। গতকাল প্রথম বারের মত উপজেলার ফাতেমানগর উচ্চ বিদ্যালয়ে কয়েকশত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের পরিচর্যা ভাল ও রচনা প্রতিয়োগিতার মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় শিক্ষার্থীরা গাছ পরিচর্যা করছে এবং হেলড কার্ডে সংরক্ষন করছে। উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যাদের হেলড কার্ডের মান সবচেয়ে ভাল এরকম তিনজনকে দেয়া হয় সেরা পুরস্কার। আয়োজনকারীরা জানিয়েছেন পর্যায়ক্রমে উপজেলা প্রতিটা ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠান গুলোতে এ পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রথম স্থান অর্জনকারী ৬ষ্ট শ্রেনীর শিক্ষার্থী পারভান আক্তার জানান, আমাকে চারা দেয়ার সাথে একটি হেলড কার্ড প্রদান করে। আমি চারাটি রোপন করার পাশাপাশি পরিচর্যা শুরু করি এবং হেলড কার্ডে তা সংরক্ষন করি। আজ কাঠাল ইউনিয়নে সেরা পুরস্কার পেয়ে আমি আনন্দিত।
কাঠাল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন কুমার জানান, হেলড কার্ড চালু করায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের পরিচর্যায় ব্যপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এখন তার বাড়ির আঙ্গিনার গাছটিকে বড় করে তুলতে শিক্ষার্থীরা যতœবান হয়েছে।
কাঠাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন কামাল বলেন আমার ইউনিয়নে প্রায় ২৫ হাজার চারা বিতরন করা হয়েছে। আমার পরিষদের সদস্যদের মাধ্যমে নিয়মিত তদারকী করি। এবং হেলড কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের চারা গুলো রক্ষনাবেক্ষন করছে।
ব্যতিক্রমধর্মী হেলড কার্ডের উদ্ধাবক ও ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রিপন বলেন, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকার চারা বিতরন করলেও পরিচর্যার অভাবে গাছগুলো মরে। এ বারই বাংলাদেশে প্রথম বৃক্ষরোপনে নহেলড কার্ড চালু করি। গত ছয় মাস পর্যালোচনার মাধ্যমে আমরা ৯শতাংশ সফলতা পেয়েছি। হেলড কার্ডে পুরনে পুরস্কারের ব্যবস্থা করায় শিক্ষার্থীরা অনুপ্রানিত হয়ে তাদের চারা পরিচর্যা করছে এবং প্রতি মাসে স্কুলের শিক্ষকদের অবহিত করছে।