কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও : শীতের আগমনে প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে। প্রকৃতির এ নতুন রূপটাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে অতিথি পাখির দল। শীতের আগমনে ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলার রামরাই দিঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে অতিথি পাখির দল। হাজার হাজার পাখির আগমনে পুরো দিঘি এলাকা এখন পাখির রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই রামরাই দিঘির পাড়ে লিচু গাছে আশ্রয় নেয় অতিথি পাখিরা। ভোর হলেই পুনরায় খাবারের সন্ধানে রামরাই দিঘিতে ভিড় জমায় তারা। আর এসব পাখিদের মিলনমেলা দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে রামরাই দিঘিতে ছুটে আসছেন পাখিপ্রেমীরা। প্রতি বছর শীতের শুরুতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে আমাদের দেশে আসে বাহারি রংয়ের অতিথি পাখি। প্রচুর শীতের দেশ সুদূর সাইবেরিয়া। পাখিরা সেই সাইবেরিয়ায় শীতের কবল থেকে রেহাই পেতে অভয়াশ্রম হিসেবে বেছে নেয় বাংলাদেশকে।
এদেশের নদ-নদী, হাওর-বাওড় এরা যেন খুব ভালোবাসে। এগুলো যেন সুদীর্ঘকাল ধরে পরিচিত তাদের কাছে। রামরাই দিঘি এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালাম জানান, সারাদিন অনেক মানুষ আসে এসব অতিথি পাখি দেখার জন্য। এদের কলতানে মুখর হয়ে আছে রামরাই দিঘি এলাকা। কেউ যেন এদের শিকার করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা এলাকাবাসী সজাগ আছি। ঠাকুরগাঁওয়ের পাখিপ্রেমী রেজাউল হাফিজ রাহী জানান, আমাদের এখানে যে অতিথি পাখি আসছে তার নাম ছোট সরালি। অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে অতিথি হয়ে আসে। অতিথি পাখিরা যাতে আমাদের এখানে নির্ভয়ে থাকতে পারে সে জন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অতিথি পাখির আগমনে এ এলাকার যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় তেমনি এরা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সহযোগিতা করে। তাই অতিথি পাখি শিকারকে আমরা সবাই না বলি। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এই ছোট সরালি জাতের অতিথি পাখি আমাদের দেশে প্রতি শীতেই আসে। এরা এখানে এসে ডিমও দেয়। অতিথি পাখি শিকার করা দন্ডনীয় অপরাধ। তাই সকলকে অতিথি পাখি শিকার না করার আহ্বান জানান তিনি।