খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬: রাজধানীর কদমতলী মেরাজনগরে একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী রনি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের এলাকায় সন্ত্রাসী রাজত্ব চালাচ্ছে। রনি গংয়ের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। রাস্তা ঘাটে মেয়েদের ইভটিজিং করাসহ এমন কোন অপরাধ নেই যে সে করে না। জানাগেছে, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রনি’র পরিবার একটি সন্ত্রাসী পরিবার। এরা পুলিশদেরও ভয় পায়না। কিছুদিন আগে সন্ত্রাসী রনি ও তার বোন কদমতলী থানার একজন পুলিশ সদস্যকে কামড়িয়ে আহত করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসি জানিয়েছেন, এই রনি এলাকায় মাদক ব্যবসা ও ছিনতাই এর সাথে জড়িত। একারণে কদমতলী মেরাজ নগর এলাকায় রনির কারণে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি। তার একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে যার নাম বাবা টেন। এদের দিয়ে সে মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। এদের কারণে মেরাজনগর এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই জনশূন্য হয়ে পড়ে। ১২ডিসেম্বর সোমবার রাতে সরেজমিনে গিয়ে এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে সাধারণত রিকশা চালকদের ভিড়ই বেশি। তাদের মুখেও সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রনি গংয়ের আলোচনা। এলাকায় একের পর মাদক ব্যবসা ছিনতাইসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেমে নেই। পুরো এলাকা জুড়েই এক প্রকার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকার কিছু দালাল, পুলিশ সোর্স জান- প্রাণ দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে এই সন্ত্রাসী রনিকে রক্ষাকরার জন্য। ফলে রনিকে একপ্রকার পাগল বলে উপাধি দিচ্ছে তারা। জানাগেছে, কয়েক মাস আগে সন্ত্রাসী রনি ইয়াবাসহ কদমতলী থানায় গ্রেফতার হন। পরে তার লোকজন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভুয়া পাগলের সনদ দেখিয়ে এই সন্ত্রাসী রনিকে জামিনে মুক্ত করে। বর্তমানে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রনি এলাকায় ফিরে আগের অপরাধি কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে অপরাধের কারণে এবং গ্রেফতারের ভয়ে বিদেশে পালিয়ে ছিলো সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রনি। ফের দেশে ফিরে পুরানো কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছেন। এলাকাবাসি জানিয়েছেন, জসিম মেহেদীকে হত্যার উদ্দ্যেশে হামলা করার পর রনি আত্মগোপনে থাকলেও যে কোন সময় আবার বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে। গোপন সূত্রে জানাগেছে, সন্ত্রাসী রনি’র বোন নারীপাচার আর তার ভাই মাদক ব্যবসায় এবং তার বাবা সাজাহান সাজু সুদে টাকা লাগিয়ে মেরাজনগরে একটি ৬তলা বাড়ি করেছেন। এর দাপটে কাউকে এলাকায় তোয়াক্কা করেন না। বর্তমানে এই সন্ত্রাসী পরিবারটির বিচার ও সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি । এই সন্ত্রাসী পরিবারটির কারণে এলাকায় খুন খারাপিসহ যে কোন বড় ধরনের অপরাধ এবং সাধারণ মানুষের ক্ষতি হতে পারে।