খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬:
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০১৯ সালের নির্বাচনও নারায়ণগঞ্জের মতো অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘সবার কৃতিত্বেই নাসিক নির্বাচন ভালো হয়েছে, দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০১৯ সালের নির্বাচনও এমন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। বিএনপি আর কোনও দাবি দাওয়া না তুলে নির্বাচনে অংশ নেবে।’
শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও জেনারেল সেক্রেটারি মোরসালিন নোমানিসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতীক ও ব্যক্তিগত ইমেজ সেলিনা হায়াৎ আইভীকে মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে সাহায্য করেছে।
বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ও প্রার্থীও চমৎকার পরিবেশের কথা বলেছেন। তবে নির্বাচনের পর বিএনপির প্রার্থী ও কর্মীরা বিভিন্নভাবে এদিক-ওদিক ইশারা করে যা বলেছেন তা ঠিক হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে দুই প্রতীকের মধ্যে ভোটযুদ্ধ হয়েছে। আমাদের প্রার্থী ৭৯ হাজার ৫৬৭ ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র হয়েছেন। সততা, আদর্শ ও ন্যায়নিষ্ঠার ইস্যুতে আমাদের প্রার্থীর বিষয়ে কারও প্রশ্ন নাই। এই নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীর মার্কা ও তার ইমেজ এক সঙ্গে কাজ করেছে। এ কারণেই ভোটের ব্যবধান বেড়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে যে কোনও সময় নির্বাচন হবে। সংবিধানের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এই নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। সার্চ কমিটির মাধ্যমে তিনি যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন যা সবার জন্য ভালো হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
তিনি যোগ করেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি সেই আহ্বানে সাড়াও দেননি, নির্বাচনে অংশও নেননি। ওই দিন ওনার পথ ধরে আমরাও যদি নির্বাচনে অংশ না নিতাম তাহলে আমাদের অবস্থাও থাইল্যান্ডের মতো হতো।’