Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬:

New Delhi: Union Home Minister Rajnath Singh addresses during a programme organised on 80th birth anniversary of BKU founder Mahendra Singh Tikait in New Delhi, on Oct 6, 2015. (Photo: IANS)

আগামী দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ২২৩.৭ কিলোমিটার সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে ভারত। আসামের গুয়াহাটিতে এক সভায় এ ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।

সোমবার তিনি সেখানে বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সীমান্তের ২২৩.৭ কিলোমিটার সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া বিজেপি সরকারের অগ্রাধিকারে রয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আউটলুক ইন্ডিয়া। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রয়েছে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত। এর মধ্যে আসামের সঙ্গে রয়েছে ২৬২ কিলোমিটার। ত্রিপুরার সঙ্গে রয়েছে ৮৫৬ কিলোমিটার। মিজোরামের সঙ্গে ১৮০ কিলোমিটার। মেঘালয়ের সঙ্গে রয়েছে ৪৪৩ কিলোমিটার ও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে রয়েছে ২২১৭ কিলোমিটার সীমান্ত।
ফলে রাজনাথ সিং যে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছেন তা হলো আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত। বিজেপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে গুয়াহাটিতে বৈঠকে সোমবার বক্তব্য রাখেন রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ২২৩.৭ কিলোমিটার সীমান্ত বন্ধ (সিল) করে দিতে আমরা প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। আশা করছি আগামী দেড় বছরের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন হবে।
এ সময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমাদের মধ্যে রয়েছে উষ্ণ ও সুসম্পর্ক। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে আমরা প্রতিশ্র“তিবদ্ধ। ওই বৈঠকে অবৈধ অভিবাসী ও হিন্দু অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ না করলেও বলেছেন, আসামের জনগণকে আমরা নিশ্চিত করতে চাই। তাদেরকে বলতে চাই যে, আসাম চুক্তির ৬ নম্বর ধারার অধীনে রাজ্যের আদিবাসী মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে বিজেপি প্রতিশ্র“তিবদ্ধ।
সংবিধান যদি সংশোধনও করা হয় তাও এই অধিকার আমরা রক্ষা করবো। ওদিকে আসামের ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি) আধুনিক মানে উন্নীত করার বিষয়ে তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়া চলমান। শিগগিরই এ কাজটি শেষ করা উচিত রাজ্য সরকারের। রাজনাথ সিং আরও বলেন, বিদ্রোহ বা জঙ্গিবাদের ইস্যুতে কোনো আপোষ করবে না কেন্দ্রীয় সরকার। এ সময় তিনি দাবি করেন, আসামে সহিংসতা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গেছে।
তিনি বলেন, যদি কোনো মানুষের কোনো ক্ষোভ থাকে, সমস্যা বা কোনো ইস্যু থাকে তাদের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত। আমরা তাদেরকে সাদরে আলিঙ্গন করে আলোচনা করবো। কিন্তু তার পরিবর্তে যদি সহিংসতার পথ বেছে নেয় তাহলে কোনো আপোষ হবে না।