খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬:
মোদী সরকার গত ৮ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে দেশটির ১০০০ ও ৫০০ রুপির নোট নিষিদ্ধ করেছে। এটি মোদী সরকারের অন্যতম বড় সিদ্ধান্ত। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে বাতিল হওয়া নোট বদলের সুযোগ রয়েছে।
ভারতে বসবাসকারী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই প্রযোজ্য। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের কাছেও ৫০ কোটি রুপির সমপরিমাণ ১০০০ ও ৫০০ রুপির নোট আছে। এখন এ নোটগুলোর কী হবে?
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবি আই) গভর্নরের কাছে এ বিষয়ে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি এ নোটগুলো ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য তার (আরবি আই গভর্নর) ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি রুপির সমপরিমাণ ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট আছে বলে ওই চিঠিতে জানানো হয়। এছাড়া এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই রুপিগুলো বিভিন্ন সময়ে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীর কাছ থেকে অবৈধভাবে বহন করা রুপি জব্দ করেছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ, যা পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারিতে জমা হয়। যা আরবি আই–কে পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানের বর্ডার হাটে রুপিতে লেনদেন করা যায়। বর্ডার হাটে অস্থায়ীভাবে বসানো স্থানীয় সোনালী ব্যাংক শাখার বুথ থেকে রুপি জমা দিয়ে টাকা নেন স্থানীয় অধিবাসী ও বিক্রেতারা। এভাবে সোনালী ব্যাংকের কাছে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোটও সোনালী ব্যাংকের হাতে এসে পড়েছে। এমন প্রায় ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ রুপি এখন সোনালী ব্যাংকের হাতে।
গভর্নর ফজলে কবির চিঠিতে আরো লিখেছেন, ১০০০ ও ৫০০ রুপির নোট নিষিদ্ধ করায় ভারতীয় অর্থনীতিকে আরো ভালো কাঠামোতে দাঁড়াতে সহায়তা করবে এটা। তবে এ সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বাণিজ্য ও বাংলাদেশি ভ্রমণপিপাসুদের কিছুটা অসুবিধায় ফেলছে যা দ্রুত নিরসন করা প্রয়োজন।
গত ৮ নভেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট নিষিদ্ধ করেন। অর্থনীতিকে নতুন কাঠামোতে দাঁড় করাতেই তিনি এ উদ্যোগ নেন। ভারতে কালোটাকা ধরতে এ উদ্যোগ প্রথম হলেও বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় ১০০ টাকার নোট লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার। তখন ১০০ টাকার নোটই ছিল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মুদ্রা।