Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪,বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬: 65প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে ভোট গণনা। পার্বত্য তিন জেলা বাদে ৬১ জেলায় সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত চলে একটানা ভোটগ্রহণ।

প্রায় ক্ষমতাহীন এই পরিষদের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। সরাসরি ভোটের বিধান না থাকায় জনগণের মধ্েয তেমন আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি। পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, দিনাজপুরের হিলিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ভোটকেন্দ্র ভোটারশূন্য থাকারও খবর পাওয়া গেছে।
এ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন কেবল ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। তাদের ভোটেই প্রতিটি জেলায় একজন করে চেয়ারম্যান এবং ২০ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন।
এদিকে, বেলা ১২টায় ঢাকার আগারগাঁও তালতলা সরকারি কলোনি উচ্চ বিদ্যালয় এবং পরে আজিমপুর গার্লস স্কুল কেন্দ্র ঘুরে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
ভোট শেষে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, আদালতের আদেশে স্থগিত কেন্দ্রগুলো ছাড়া বাকি সব কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার তথ্য আমাদের কাছে এখনো আসেনি।
বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ অধিকাংশ দল এ নির্বাচন বর্জন করায় ঢাকাসহ ২১ জেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন ভোটের আগেই। বাকি অধিকাংশ জেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারাই।
তারপরও নির্দলীয় এ নির্বাচনে প্রভাব খাটানো, ভয়ভীতি প্রদর্শন, ভোট কেনাবেচা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। ভোটের আগের দিনও সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আড়াই লাখ টাকাসহ এক সদস্য প্রার্থীর সমর্থককে আটক করে পুলিশ।
প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী হাকিম রাখা হয়। কোনো ভোটার মোবাইল ফোন বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও নিয়ম করা হয়।
এদিকে, নির্বাচনের আগেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ২১জন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ১৬৬জন ও সংরক্ষিত সদস্য ৬৯জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিগুলোতে আজ ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান এবং সদস্য পদে সবমিলিয়ে প্রার্থী সংখ্যা ৩,৯৩৮জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩,১৪৩জন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন- নারায়ণঞ্জে আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরে মো. আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খাঁন, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ হাদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আব্দুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, ফেনীতে আজিজ আহমেদ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জে মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, চট্টগ্রামে এম এ সালাম, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও ফরিদপুরে মো. লোকমান মৃধা।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে সারাদেশে অনেক ভোটকেন্দ্র স্থগিত হলেও কোথাও বড় ধরনের কোনো অনিয়ম বা সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।