Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪,বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬: 66প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরো দুই আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু এ আদেশ দেন।
এর আগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দুই আসামিকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুব আলম। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের আবেদন খারিজ চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামি দুজন হলেন বিমানের প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর।
এর আগে ২২ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন সিদ্দিকুর ও রোকনুজ্জামান। তবে সেদিন তাঁদের জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী।
একই দিন এই মামলায় সাত আসামিকে সাত দিন করে রিমান্ডে পাঠান আদালত। ২১ ডিসেম্বর তাঁদের গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।
এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। ২০ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলীসহ নয়জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার নয় আসামি হলেন—বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে বিমানটি তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে ত্রুটি সারিয়ে চার ঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশে উড়ে যায় বিমানটি। ওই বিমানের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাঙ্কের একটি নাট ঢিলা হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কি-না, তা খতিয়ে দেখতে ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে বিমান মন্ত্রণালয়।
ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরো দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই দুই কমিটি এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। বরখাস্ত হয়েছেন মামলার আসামিরাও।