আগের দিনেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন। দিন শেষে নাসির হোসেন অপরাজিত ছিলেন ১০৫ রানে। আজ তৃতীয় দিনে সেটিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিলেন ‘মিস্টার ফিনিশার’।
আর নাসিরের ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদেই ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের পঞ্চম রাউন্ডে সিলেটের বিপক্ষে লিড নিয়েছে রংপুর বিভাগ।
অথচ আগের দিন নাসির যখন উইকেটে এলেন, ১৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে রংপুর। দলের ২৯ রানে তাকে একা রেখে ফিরে যান মাহমুদুল হাসানও। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে ধীমান ঘোষের সঙ্গে ৭৮ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন নাসির।
ধীমান ২৬ করে ফিরলেও আরিফুল হকের সঙ্গে জুটি বেঁধে নাসির তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৭৩ বলে ফিফটি করা নাসির পরের ৫০ করেন ৫৯ বলে। ব্যক্তিগত ৯৫ থেকে অলোক কাপালিকে চার মেরে ৯৯-এ পৌঁছার পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পঞ্চম সেঞ্চুরি।
নাসির ৯১ ও আরিফুল ১৫ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিন শুরু করেছিলেন। আরিফুল অবশ্য ২৬ করেই ফিরে যান। তবে সপ্তম উইকেটে সোহরাওয়ার্দী শুভকে সঙ্গে নিয়ে ১৪৬ রানের বড় জুটি গড়েন নাসির।
সোহরাওয়ার্দী যখন ৭৮ রান করে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরলেন নাসিরের ব্যক্তিগত রান ১৭৪। এরপর দ্রুত ফিরে যান আলাউদ্দিন বাবুও (১০)। তখনো ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ২৪ রান দূরে নাসির।
তবে কি সঙ্গীর অভাবে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটা পাবেন না নাসির? নাসিরকে সেই আক্ষেপে পুড়তে দেননি সাজেদুল ইসলাম। নবম উইকেটে নাসিরকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তিনি। আর নাসির তুলে নিয়েছেন অসাধারণ এক ডাবল সেঞ্চুরি।
১৮১ রান নিয়ে চা বিরতিতে যাওয়া নাসির বিরতি থেকে ফিরে মাইলফলক স্পর্শ করেন। ১৯৯ থেকে আবু জায়েদ রাহির বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৩৪০ বলে পূর্ণ করেন ডাবল সেঞ্চুরি। রাহির পরের ওভারেই অবশ্য আউট হয়ে যান নাসির। তার আগে ৩৪৩ বলে ২৪ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ২০১ রানের অনন্য-অসাধারণ ইনিংস।
অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলে ব্রাত্য নাসির। দলে থাকলেও একাদশে সুযোগ পান না তেমন একটা। অক্টোবরে মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়ে ব্যাট হাতে অপরাজিত ২৭ রানের পর বল হাতে নিয়েছিলেন একটি উইকেট। বাংলাদেশও ম্যাচ জিতেছিল। চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডেতে খেলার পর আর দলে সুযোগ মেলেনি তার। আজকের ডাবল সেঞ্চুরির পর যদি অন্তত নাসিরের ওপর সুনজর পড়ে জাতীয় দলের নির্বাচকদের!