খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬: দীর্ঘ সময় পর জাতীয় লিগে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন নাসির হোসেন। সেঞ্চুরি তো নয় পেলেন ডাবল সেঞ্চুরি।
মূলত সময় ও নিজের ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ ইনিংস খেলেন তিনি। এ দিন ইনিংস শেষে তিনি বলেন, ‘জাতীয় লিগে খেলা হয় না অনেকদিন। এবার সুযোগ পেয়ে লম্বা ইনিংস খেলার পরিকল্পনা করেছিলাম। পরিকল্পনা কাজে লেগেছে বলে ভালো লাগছে।’
কখনো দারুণ সব শটে সিলেটের বোলারদের সীমানা লাইনের বাইরে আছড়ে ফেলা, কখনো বা আত্মবিশ্বাসী ডিফেন্স- ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে নাসিরের ব্যাট ছড়িয়েছে সৌরভ। ২৪ চার আর ৩ ছয়ে ৩৪৩ বলে ২০১ রানের ঝলমলে ইনিংস তাই অনেক দিন মনে থাকবে জাতীয় দলে ব্রাত্য থাকা এ অলরাউন্ডারের।
আবু জায়েদ রাহীকে ফ্লিক করে সিঙ্গেল নিয়ে ডাবলের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছার পরই স্রষ্টার উদ্দেশ্যে সেজদাবনত হন নাসির। নাসিরের কাছে ডাবল সেঞ্চুরির মাহাত্ম্য কতোটুকু, সেটা যেন তার সেজদা-ই জানান দিল।
শীতের শিশিরমাখা বিকেলে চা-বাগানের ঘেরা সিলেটের নান্দনিক স্টেডিয়ামে সিলেট-রংপুরের তৃতীয় দিনের খেলা যখন শেষ হয়, তখন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে জনা পঞ্চাশেক দর্শক। এরা অবশ্য ‘প্রকৃত’ ক্রিকেট দর্শক নন। আশপাশের চা-বাগানে ঘুরতে এসে স্টেডিয়ামে খেলা চলছে জেনে একটু ঢুঁ মেরে যাওয়া দর্শক। দিনের খেলা শেষে মাঠ থেকে যখন বেরিয়ে আসছিলেন নাসির, এই দর্শকরাই ‘নাসির নাসির’ স্লোগানে মুখর করে তোললেন গ্যালারি।
‘অপ্রত্যাশিত’ এই দর্শকদের ভালোবাসাকে নাসিরই বা কি করে উপেক্ষা করেন! তাই ছুটে গেলেন দর্শকদের দিকে। হাত মেলালেন, অটোগ্রাফ দিলেন, ছবিও তুললেন।
পরে যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন, নাসিরের চোখেমুখে খুশির ঝিলিক। এই খুশি খুশি ভাবটা ধরে রাখতে চান সামনেও। জাতীয় লিগে নাসির থাকতে চান রানের ধারাবাহিকতায়, ‘জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে ভাবছি না। আপাতত জাতীয় লিগে ভালো খেলে যেতে চাই। রানের মধ্যে থেকে লম্বা ইনিংস খেলতে চাই।’