Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

31kখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিষ মুক্ত জৈব্য সারের ব্যবহার। কেচো পদ্ধতিতে জৈব্য সার তৈরী করে, বেকার যুবকেরা করেছে কর্মসংস্থান, একই কাজ করে সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা এনেছে গ্রামের গৃহবধুরাও।

কৃষকরা বলছেন বাজারের রাসয়নিক সারের থেকে জৈব্য সার জমিতে ব্যবহার করলে, জমির উবর্বর শক্তি বৃদ্ধি পায়, এতে ফলনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর রাসয়নিক সারের থেকে জৈব্য সার বাজারে অনেক কম দামে পাওয়া যায়, এজন্য উৎপাদন খরচও কমে গেছে।
জৈব্য সার তৈরী কারক উপজেলা পৌর এলাকার উত্তর সুজাপুর গ্রামের নুর ইসলাম বলেন, সে পঞ্চগড় হাঙ্গার ফ্রি ওয়াল্ড থেকে, গত ছয় মাস আগে প্রশিক্ষন নিয়ে কেচো দিয়ে জৈব্য সার তৈরী করা শুরু করেছেন, এখন সে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা এই সার তৈরী করে আয় করছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে তার এই আয় বৃদ্ধি পেয়ে ৪০ হাজার টাকা হবে। একই কথা বলেন পশ্চিম গৌরী পাড়া গ্রামের শাকিল আলম, সেও একই সাথে প্রশিক্ষন নিয়েছে, গত তিন মাস থেকে সার তৈরী করতে শুরু করেছে, এখন তার মাসিক আয় ১৫ হাজার টাকা। প্রশিক্ষন গ্রহন করার পর গ্রামের কয়েক জন গৃহবধুকে প্রশিক্ষন দিয়েছে এই দু’জন যুবক, সেই গৃহবধুরা সার তৈরী করে এখন তারাও সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এনেছে। উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পুর্ব জাফর পুর ঘুঘুজান গ্রামের গৃহবধু ফেরদৌসী বেগম মাত্র ১৫শ টাকার কেচো নিয়ে জৈব্য সার তৈরী শুরু করেন, ছয় মাসের ব্যবধানে এখন তার মাসিক আয় ১০ হাজার টাকা। একই কথা বলেন উত্তর সুজাপুর গ্রামের আক্তারা বেগম,ইসমত আরা বেগম ও মঞ্জিলা বেগম তিন বোন, এই জৈব্য সার তৈরী করে এখন সাবলম্বি।

জৈব্য সার প্রস্তুত কারক নুর ইসলাম বলেন শুধু গোবর আর কেচো একটি রিং এর মধ্যে ২০ থেকে ২৫ দিন রাখলে, কেচো গুলো গোবর খেয়ে যে মল ছাড়ে সে গুলো জৈব্য সার হিসেবে তৈরী হয়, এই কেচো গুলো এক প্রকার বিশেষ জাতের কেচো, যা বাজারে কেজি দরে কিনতে পাওয়ায় যায়।

জৈব্যসার ব্যবহার কারী পুর্ব রাজারামপুর ঘাটপাড়া গ্রামের পাপ্পু বলেন সে আলু ক্ষেতে জৈব্যসার ব্যবহার করে দ্বিগুন ফসল পেয়েছে, একই কথা বলেন ভেটাই গ্রামের ইমান আলী, মাদিলা হাট এলাকার জিয়াবুর রহমান ও আমতলী এলাকার লিটন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হামিম আশরাফ বলেন, এখন বিষ মুক্ত খাদ্য উৎপাদনের জন্য সরকার ঘোষনা দিচ্ছে, আর বিষ মুক্ত খাদ্য উৎপাদন করতে হলে জৈব্যসার ব্যবহার করার বিকল্প নাই। এজন্য আমরা জৈব্য সার ব্যবহার করার জন্য কৃষদের আমরা পরামর্শ দিয়ে আসছি। তিনি আরো বলেন জৈব্য সার জমিতে ব্যবহার করলে জমির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পায়, এতে ফসল উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়।