Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬:  শরীয়তপুর জেলা পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডে সাধারন সদস্য পদে বিজয়ী সমর্থকরা নড়িয়া উপজেলার শাওড়া এলাকায় বিজিতা প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি ঘরে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। উভয় গ্রুপে মামলার প্রক্রিয়া চলছে । এ ঘটনায় পুলিশ ১ জনকে আটক করেছে।

নড়িয়া উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ নং ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান আলম বয়াতি ও শফিকুল ইসলাম সোহেল মোড়ল সাধারন সদস্য পদে প্রতদ্বন্দিতা করেছেন। এ নির্বাচনে মিজানুর রহমান আলম বয়াতি বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী হওয়ার পর তারা প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী সফিকুল ইসলাম সোহেল মোড়ল ও তার সমর্থকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বিজয়ী প্রার্থী মিজানুর রহমান আলম বয়াতি নেতৃত্বে তার সমর্থকরা বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ৯ টায় অর্ধশতাধিক লোকজন লাঠি সোটা, ঢাল ,শরকি, রামদা ছেনদা ,হকিস্টিক, আগ্নেয়াস্ত্র সহ নশাসন এলাকার শাওড়া গ্রামে বিজিত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সোহেল মোড়লের সমর্থক লুৎফর চোকদার, দবির উদ্দিন চোকদার, মোসলেম চোকদার, আবুল কাসেম চোকদার, আনছার আলী চোকদারসহ প্রায় ১০টি বাড়ি ঘরে রাতের আধারে আক¯িœক ভাবে হামলা করে।

এ সময় হামলাকারীরা ঐ সকল বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে ঘরের সমস্ত মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন বাধা দিলে হামলাকারীদের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের সংর্ঘ হয়। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপে সেলিম চোকদার ও মনির হোসেন চোকদার ,কামরুল মাদবর সহ কমপক্ষে ১০ জন নারী পুরুষ গুরুতর আহত হয়। ২০/৩০ টি ককটেলের মূহু মূহু বিস্ফোরন ঘটায়। আহত মনির হোসেন ও সেলিম চোকদারকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত কামরুল মাদবরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদেরকে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে নড়িয়া থানার পুলিশ হোসন মাদবর কে আটক করেছে। এ ঘটনায় দবির চোকদার বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামী করে নড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। অপর গ্রুপ পাল্টা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম সোহেল মোড়ল বলেন, আমি ঢাকায় চলে আসার পর নির্বাচনে বিজয়ী আলম বয়াতি ও তার সমর্থকরা আমার সমর্থক লোকজনের বাড়িতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে । আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

বিজয়ী মিজানুর রহমান আলম বয়াতি বলেন, আমার লোকজন বা আমি কোন বাড়ি ঘরে হামলা করিনি। ঐ এলাকায় পূর্বেকার রাজনৈতিক রেসারেসির কারনে এক পক্ষ অন্যপক্ষের সাথে মারা মারি হয়েছে।

এ ব্যাপারে নড়িয়া থানার ওসি মোঃ ইকরাম আলী মিয়া আসামী আটকের কথা অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের মামলার প্রক্রিয়া চলছে। একজনকে আটক করা হয়েছে।