খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬:মুন্সীগঞ্জের মেঘনার নদীর তীরবর্তী এলাকা কালিরচর গ্রামের মানুষ বাবলা বাহিনি ইটভাটার শ্রমিকদের ট্রলারে হামলা চালিয়ে ৭জনকে গুরুতর আহত করে সর্বস্ব লুটে নেয়। আহতদের সূত্রে জানা যায়, আহত মো: আবু বকর ছিদ্দিক মাঝি (৩৮), শ্রমিক মো: বছির উদ্দিন (৪৫), মো: মোশারফ (৪৭) কে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে দুই সহদর হাবিল (২৮), কাবিল (৩১), জহর উদ্দিন (৩৫), শহিদুল (২৮) এদের সকলের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তাদের কাছে থাকা নগদ ৭৫হাজার টাকা ও ২৩টি মোবাইল ডাকাতদল হাতিয়ে নেয়। শুক্রবার (৩০ ডিসম্বের) ভোর রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আবু বকর ছিদ্দিক জানায় ২৩টি ট্রলার একযোগে যাওয়ার সময় হাফজা মনি, মাশরাফী নামের দুটি ট্রলারে হামলা করে ডাকাতি করে। হামলার সময় ডাকাতদের হাসে পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র ছিল। ডাকাতিকালে ২রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে ডাকাতদল। হামলায় ৭জন আহত হয়েছে। এ সময় ২৩টি মোবাইল ও নগদ ৭৫ টাকা লুটে নেয়।
সদর থানার এস.আই রামপ্রসাদ জানান, আহতরা আমার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছে তবে লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। আহতরা বাবলা বাহিনী এই হামলা ও ডাকাতের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে। এই মুহুর্তে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পৌছেছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এই দুই বাহিনির নৌ-ডাকাতির কারনে মেঘনা নদিতে জেলে নৌকা, যাত্রীবাহি লঞ্চ মালিকরা আতংকিত রয়েছে। প্রতিদিনই মেঘনা নদীতে এই বাহিনীর চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছে। কিন্তু দুই থানার কেউই এই বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযানে সফল হতে পারেনি। কিছুদিন পূর্বে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা বাবলা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডকে গ্রেফতার করতে পারলেও ডাকাতদলের সর্দার বাবালাকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতারের আওতায় আনতে পারেনি সদর থানা পুলিশ।