খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬: দেশের সর্ববৃহৎ ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) এবারে ব্যাপক সারা ফেলেছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। আগামী ১ জানুয়ারি রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২২তম এ আয়োজনে বাংলাদেশসহ ২১টি দেশ অংশগ্রহণ করছে।
যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জানিয়েছে, এই প্রথম বাণিজ্য মেলায় প্রবেশের টিকেট পাওয়া যাবে অনলাইনে। এ ছাড়া আগের মতো মেলার বাইরেও থাকবে টিকেট সংগ্রহের সুযোগ।
রাজধানীর শেরেবাংলানগরে শুরু হতে যাওয়া মেলা প্রাঙ্গণে জোড়ে সোরে চলছে প্রস্তুতির কাজ। এবারেও মেলার প্রধান গেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিনন্দন কার্জন হলের আদলে তৈরি করা হয়েছে।
মাসব্যাপী এ বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশ অংশ গ্রহণ করবে। দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, পাকিস্তান, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, নেপাল, জাপান, মরক্কো, ভুটান, আরব আমিরাত, মরিশাস ও ঘানা ।
ইপিবির এক কর্মকর্তা জানান, অন্যান্য দেশগুলোকে ৪৮টি প্যাভিলিয়ন ও সাধারণ স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্যাভিলিয়ন ২৮টি, মিনি প্যাভিলিয়ন ৭টি এবং প্রিমিয়ার স্টল আছে ১৩টি।
প্রথম বারের মতো মেলার দর্শনার্থীরা অনলাইনে টিকেট কাটার সুযোগ পাচ্ছে। সহজ ডটকমের মাধ্যমে অনলাইনে আগে থেকে টিকেট কাটাতে পারবে দর্শনার্থীরা। সেই সাথে মেলা চলাকালিন নির্দিষ্ট কাউন্টারেও টিকিট পাওয়া যাবে।
ইপিবি সূত্রে জানা যায়, এবারের মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ১৩টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন, বিভিন্ন প্রিমিয়ার, সাধারণ স্টল, ফুড স্টল ও রেস্টুরেস্টসহ মোট ৫৭৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় স্টল বরাদ্দ নিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোট এক হাজার ২৭টি আবেদন করেছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে জেনারেল স্টলের জন্য। এবারে জেনারেল স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যান দেওয়া হয়েছে ২৯২টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৭১৭টি। আর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৮০টি। এবার ফুড স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যানে মোট স্টল রাখা হয়েছে ২৪টি। এর বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৭৫টি। বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৪টি । রেস্টুরেন্ট স্টলের জন্য লে-আউট প্ল্যানে মোট স্টল রাখা হয়েছে ৩টি। এরমধ্যে ৩টিই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ইপিবির উপ সচিব মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যে স্টল বরাদ্দ দিয়েছি তার সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এর সঠিক সংখ্যা জানুয়ারি মাসের ৯ বা ১০ তারিখের মধ্যে জানা যাবে।’
রেজাউল করিম আরো বলেন, ‘অন্যান্য বারের চেয়ে এবারে মেলা জমবে ভালো। কারণ এবার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ভালো। ব্যবসায়ীদের মধ্যে আমাদের এই মেলাকে ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ অন্য যেকোনো বছরের চেয়ে বেশি।’
রেজাউল করিম আরো বলেন, ‘মেলায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আনসার, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) পাশাপাশি থাকবে সাদা পোশাক ধারী গোয়েন্দা। থাকবে সিসি ক্যামেরা। তবে এবারে সিসি ক্যামেরার সংখ্যাও বাড়ানো হবে। শিশুদের বিনোদনের জন্য দুটি পার্ক, মাতৃদুগ্ধ কেন্দ্র আরো থাকবে ইকোপার্ক। ‘
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। কোনো সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াই মেলা সকাল ১০ থেকে রাত ১০ পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে জনপ্রতি ৩০ টাকা। ছোটদের জন্য ২০ টাকা।