Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৪ জানুয়ারি ২০১৭: 41মিয়ানমারের রাখাইনে আদিবাসী রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নির্যাতনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে একটি সরকারি কমিশন।

রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী পুলিশের নির্যাতন চালানোর একটি ভিডিওচিত্র গত ২৯ ডিসেম্বর সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হয়।
ওই ঘটনায় জড়িত বলে চারজন পুলিশকে চিহ্নিত করে কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে বলে সোমবার মিয়ানমারের নেত্রী অংসান সুচির কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
পরদিন মঙ্গলবার রোহিঙ্গা নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে গঠিত মিয়ানমারের সরকারি কমিশন তাদের অন্তর্র্বতী প্রতিবেদনে নির্যাতনের অভিযোগ নাকচ করে দেয়।
গত অক্টোবর ৮ অক্টোবর তিনটি সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের হত্যার অভিযোগে রাখাইনের রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে অভিযান শুরু করে সরকারি বাহিনী।
ওই সময় থেকে চলা অভিযানকালে নিরাপত্তাকর্মীরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে গণহত্যা-গণধর্ষণ-গণগ্রেফতার শুরু করে। রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এতে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ ওঠে।
নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
এই নির্যাতনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো মিয়ানমারের ভূমিকার সমালোচনায় সোচ্চার হয়। বিশেষ করে দেশটির নোবেলজয়ী গণতন্ত্রপন্হী নেত্রী সুচির সরকারের সময়ে এমন নিপীড়নের লাগাম টেনে না ধরায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
এরই প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সাবেক একজন জেনারেল নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। মঙ্গলবার এই কমিটি অন্তর্র্বতী প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম।
রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ আখ্যা দিয়ে তাদের উপর ‘গণহত্যা এবং ধর্মীয় নিপীড়ন চালানোর’ কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে প্রতিবেদনে দাবি করেছে কমিশন।
এতে আরও বলা হয়েছে, ৪৮৫ জন বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের অন্যতম আদিবাসী সংখ্যালঘু। কিন্তু দেশটির সরকার তাদের আসল জাতীয়তা অস্বীকার করে তাদের ‘বাঙালি’ বা বাংলাদেশ থেকে আগত অবৈধ অভিবাসী আখ্যা দিয়ে আসছে।
নাগরিকত্ব বঞ্চিত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। এতে এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে। এর চার বছর পর গত বছরের অক্টোবরে ফের বড় ধরনের নিপীড়নের মুখে পড়ে রোহিঙ্গারা।