Tue. Jun 17th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৪ জানুয়ারি ২০১৭: 74প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গাইবান্ধা-১ আসনের সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন এলাকায় জামায়াতবিরোধী একটা শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন বলেই তাঁকে জীবন দিতে হয়েছে। আগে তাঁর ওপর কয়েকবার হামলা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘লিটন ওখানে জামায়াতবিরোধী শক্ত অবস্থান নিয়েছিল। আমাদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে সব সময় সাহায্য করত। যে কারণে আজকে জীবনটা দিতে হলো। জানি না ওদের আর কী পরিকল্পনা আছে। যখন তারা নির্বাচন করল না, ব্যর্থ হলো। আন্দোলন করে সরকার উৎখাতে ব্যর্থ হলো। এখন গুপ্তহত্যা। এটা বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র। খুন করাই তাদের চরিত্র। এটা নতুন নয়। তারাই তো বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দায়মুক্তি দিয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে একটা জিনিস আমার খুব খারাপ লেগেছে। মাঝখানে একটা বাচ্চা গুলিতে আহত হলো। সেটা নিয়ে পত্র-পত্রিকা এমনভাবে লেখালেখি করল; ক্যারেক্টার অ্যাসাসিন করল। কিন্তু সেখানে যে ঘটনা হয়েছিল, সেটা কেউ লিখল না। সেখানে অ্যাম্বুস করে রাখা হয়েছিল। যেহেতু ও সব সময় সতর্ক ছিল, লাইসেন্স করা পিস্তল ছিল। সে কোনোমতে সেখান থেকে বেঁচে আসে। ওই সময় গোলাগুলিতে ছেলেটা আহত হয়। সে-ও কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের কর্মীর ছেলে। কিন্তু সেটাকে নিয়ে এমনভাবে লেখা হয়! মামলাও হয় তাঁর বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবে তাঁর বন্দুক জব্দ করা হয়। এই যে তাঁর অস্ত্রটা নিয়ে যাওয়া হলো, এরপর সে সব সময় আতঙ্কে থাকত, যেকোনো সময় তাঁকে আক্রমণ করা হবে। ঠিক সেই ঘটনাটি ঘটল। বাসার ভেতরে ঢুকে ওকে হত্যা করল।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলতে চাই, কারও ক্যারেক্টার অ্যাসাসিন করতে চাইলে করেন। কিন্তু জীবন যাবে, এ ধরনের ঘটনা না ঘটানোই ভালো। ওভাবে লিখে লিখে এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি করলেন, যেন সে মহা অপরাধী।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে যৌথসভায় উপস্থিত রয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য প্রমুখ।