Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

61নতুন বছর ও সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের পুঁজিবাজারে যে চাঙাভাব বিরাজ করছিল তা আরও বেড়ে তেজিভাবেই শেষ হয়েছে সপ্তাহের লেনেদেন।

বৃহস্পতিবার দেশের দুই পুঁজিবাজারেই শেয়ারের মূল্যসূচক ও লেনদেন বেড়েছে।এর মধ্যে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়ে ২৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থায় রয়েছে।
আগের দিনের চেয়ে ডিএসইএক্স প্রায় ২৬ পয়েন্ট বেড়ে দিনের লেনদেন শেষে ৫ হাজার ১৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর ডিএসইক্স ছিল ৫ হাজার ২৩৩ পয়েন্ট।
পুঁজিবাজারে উপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসা, বিনিয়োগের জন্য শেয়ারবাজার সবচেয়ে উপযোগী থাকা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে বাজার পরিস্থিতির উন্নতির পেছনে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরান হাসান।
বলেন, “বিনিয়োগকারীদের জন্য পুঁজিবাজার ছাড়া এখন আর তেমন কোনো বিনিয়োগের জায়গা নেই। ব্যাংকের এফডিআরের রেট কমে এসেছে, সঞ্চয়পত্রের দামও কমেছে। তাই টাকা পুঁজিবাজারের দিকে আসছে।
“যদিও ২০১৬ সালের প্রথম থেকেই সুদের হার কমে এসেছিল। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারের উপর আস্থা ফিরে আসতে সময় লেগেছে চার-পাঁচ মাস। পরে মে মাস থেকে পুঁজিবাজারে মানুষের আস্থা ফিরেছে। তখন থেকে পুঁজিবাজার ভাল করছে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে দেশের ব্যাংকগুলোতে জামানতের গড় সুদের হার ছিল ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ, যা ২০১৬ সালের অক্টোবরে কমে ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশে নেমেছে।
বুধাবর পর্যন্ত সাত মাসে ডিএসইএক্স ১ হাজার ১০ পয়েন্ট বা ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়েছে, সদ্য বিদায়ী বছরের ২ মে ছিল ৪ হাজার ১৭১ পয়েন্ট।
ইমরান বলেন, “পুঁজিবাজারের উপর মানুষের আস্থা ফিরে আসায় তারা সঞ্চয়পত্র ভেঙে টাকা পুঁজিবাজারে আনা শুরু করেছে। এর মধ্যে কোম্পানিগুলোও ভাল মুনাফা দেখাচ্ছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও বাড়ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও পুঁজিবাজার ভাল হওয়ার পেছনে অবদান রেখেছে।”
তবে পুঁজিবাজারে মৌল ভিত্তিসম্পন্ন নয় এমন কিছু শেয়ারের কারসাজি দিকে নজর রাখতে বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ১ হাজার ২৪৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি।
লেনদেনে থাকা ৩২৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৭টির, কমেছে ১৩৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির দাম।
দিনের লেনদেন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৯৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের দিন থেকে দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি।
হাতবদল হওয়া ২৬১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ১১৮টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪ টির।