খোলা বাজার২৪,শনিবার, ৭ জানুয়ারি ২০১৭: ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানার বেগমের উপস্থিতিতে আজ সকাল ১১:০০ টায় সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ফেলানী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে নাগরিক পরিষদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতি নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থানার অনন্তপুর সীমান্তে নুরুল ইসলামের সামনে তাঁর নিষ্পাপ কুমারী মেয়ে ফেলানীকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে, হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের কোন বিচার হয় নি। বাংলাদেশ বিচার পায়নি। বিচার আর ক্ষতিপূরণের জন্য ঘুরছে ফেলানীর পরিবার।
আমাদের সার্বভৌমত্বই আমাদের স্বাধীনতা। বারবার বিএসএফ আমাদের সার্বভৌমত্ব লংঘন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে এদেশের নাগরিকদের নির্যাতন করছে, নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। ফেলানী হত্যাকারী অমিয় ঘোষকে ফাঁসি দিলে বাংলাদেশ বিচার পাবে আর সীমান্ত হত্যাবন্ধ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বিশ্বব্যাপী সীমান্ত হত্যা বন্ধে প্রতিবছর ৭ জানুয়ারী ফেলানী দিবস পালনের জন্য আমরা জাতিসংঘ মহাসচিব সমীপে স্মারকলিপি প্রদান করি।
তিনি আরও বলেন, আজ ২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারী ফেলানী দিবসে আমরা দাবী করিÑ
৭ জানুয়ারী বাংলাদেশসহ সারবিশ্বে ফেলানী দিবস পালন করুন।
ফেলানীর পরিবারকে কমপক্ষে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ফেলানী হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ফাঁসি ও ফেলানী পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
সার্বভৌমত্বের লংঘন বন্ধ করতে হবে।
কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তের নাম ফেলানী সীমান্ত নামকরণ করতে হবে।
ঢাকা গুলশান-১ থেকে তেজগাঁও রাস্তার নাম ফেলানী সরণী করতে হবে।
বাংলাদেশকে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।
ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম কান্নাভেজা কন্ঠে ফেলানীর বিচার ও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সকলের নিকট আবেদন জানান। বক্তব্য রাখেন, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন মনি, আকবর হোসেন, দূর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুনূর রশীদ, নারীনেত্রী মুশতারী বেগম, মানবাধিকার নেতা মঞ্জুর হোসেন ঈসা, নাগরিক পরিষদের শ্রম সম্পাদক আল আমিন সরকার, গার্মেন্টস নেতা বাহারানে সুলতান বাহার, মোঃ হানিফ, জামাল শিকদার, সিদ্দিকুর রহমান, কবি নুরুল হালিম সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।