Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৮ জানুয়ারি ২০১৭: 19রমনা বটমূল বোমা হামলা মামলার বিচারের একটি ধাপ অতিবাহিত হতেই লেগে গেছে ১৪ বছর। ঐ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ৮ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ঢাকার দায়রা জজ আদালত। ঐ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি হাইকোর্টে শুরু হয়েছে আজ রবিবার। শুনানিতে এই মামলার পেপার বুক পড়া শুরু করেছেন আইনজীবীরা। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি শহীদুল করিমের ডিভিশন বেঞ্চে রবিবার সকালে এই ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। বিচারিক আদালতের রায় দেয়ার আড়াই বছরের মধ্যেই এ শুনানি শুরু হল।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রাজধানীর রমনার বটমূলে বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঐ ঘটনার ১৪ বছর পর ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দায়রা জজ আদালত মুফতি হান্নানসহ ৮ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন হুজি নেতা মুফতি আবদুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আকবর হোসাইন ও আরিফ হাসান। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন পলাতক। এ ছাড়া এ মামলায় হুজির আরো ছয় জঙ্গিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
আসামির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য এই মামলার নথি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি মুফতি হান্নান সহ কারাবন্দী আসামিরা আপিল দায়ের করেন। আপিলে তারা মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল চান। বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এসব ডেথ রেফারেন্স ও আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় মামলার পেপার বুক করার নির্দেশ দেন। এরপর এই মামলার পেপার বুক প্রস্তুত করা হয়।
পেপার বুক প্রস্তুতের পরে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান প্রধান বিচারপতি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার মামলার শুনানি শুরু হল। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি হতে বিচারিক আদালতের ১৪ বছর অতিবাহিত হয়েছে। সে তুলনায় হাইকোর্টের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হল।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রাজধানীর রমনার বটমূলে বাংলা বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা হয়। তাতে ১০ জন নিহত হন। আহত হন আরো অনেকে।