Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৯ জানুয়ারি ২০১৭:  75গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি গ্রহণ শেষ হয়েছে। যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর ২২ দিন শুনানি শেষে আজ সোমবার মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
গত বছরের ৭ নভেম্বর আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি গ্রহণ শুরু হয়। নিম্ন আদালতের রায়ের দশ মাসের মাথায় উচ্চ আদালতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আলোচিত ওই মামলার শুনানি শুরু হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম। আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও মো. আহসান উল্লাহ।
পরে আতিকুল হক বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাওয়া দুজনের মধ্যে পলাতক আসামি রানা আপিল করেননি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর এক আসামি ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপসহ সাতজন আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্সের সঙ্গে অপর সাত আসামির আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। হাইকোর্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন। এখন যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে।
চার বছর আগে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি রাজধানীর পল্লবীতে নিজ বাসার সামনে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই মামলায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ রায় দেন। রায়ে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দীপকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মো. জসীমুদ্দিন রাহমানীসহ পাঁচজনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
আসামিদের মধ্যে মাকসুর হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে দশ বছর করে এবং আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিমুদ্দিন রাহমানীকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জসিমুদ্দিন রাহমানী ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা নথর্সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
নিম্ন আদালতের রায়সহ মামলার নথিপত্র গত বছরের ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে এসে পৌঁছে ও ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়। প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন। পরে পেপারবুক প্রস্তুত হয়ে সরকারি ছাপাখানা থেকে আসার পর প্রধান বিচারপতি ওই বেঞ্চে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর ওই বেঞ্চের তালিকায় মামলাটি আসে।