খোলা বাজার২৪, বুধবার, ১১ জানুয়ারি ২০১৭: মুখে যন্ত্রণার ছাপ ছিল স্পষ্ট। উইকেট ছেড়ে যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, মুশফিকুর রহিমের মুখ ছিল অন্ধকার। এতদিন পর জানা গেল, সেটি শুধু হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটেই নয়, আসল চোট লেগেছিল তার মনে! নিউ জিল্যান্ডের মত কন্ডিশনে পারফরম্যান্সকে সবসময়ই মূল্যায়ন করা হয় আলাদা করে। মুশফিকও একটি লক্ষ্য বেধে দিয়েছিলেন নিজেকে। শুরুটাও ছিল দারুণ। প্রথম ওয়ানডেতে ক্রাইস্টচার্চে ব্যাট করছিলেন ৪২ রানে। এরপরই মাঠ ছাড়তে হলো হ্যামস্ট্রিংয়ের টানে।
সেই চোট পরে আর গোটা রঙিন পোশাকের সিরিজেই মাঠে নামতে দিল না মুশফিককে। সাদা পোশাকে অবশ্য ফিরছেন টেস্ট অধিনায়ক। তবে আগের যন্ত্রণা পোড়াচ্ছে এখনও।
“উইকেটগুলো দেখে যেটা মনে হয়েছে, আমি খুবই মিস করেছি। এজন্যই চোট পাওয়ার পর ড্রেসিং রুমে ফিরে প্রায় কেঁদেই দিয়েছিলাম। কারণ এসব দেশে এসে যে ভালো খেলে, তাদেরকে অন্যরকম ভাবে মূল্যায়ন করা হয়। আমি সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম যে এখানে এবার ভালো খেলব। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হলো না।”
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুশফিকের অভাব অনুভূত হয়েছে প্রকটভাবেই। বার বার ধসে পড়েছে ব্যাটিং। মুশফিকের ব্যাটের আস্থা খুঁজে পাওয়া যায়নি আর কারও ব্যাটে। টেস্ট অধিনায়কের আশা, সেই ভুল থেকে শিখবেন ব্যাটসম্যানরা।
“যে উইকেটগুলো ছিল, আমাদের ব্যাটসম্যানরা আরেকটু নিবেদন দেখালেৃতামিম বলেন, সাকিব, রিয়াদ ভাই, ইমরুল, সৌম্য, সবার জন্য বড় সুযোগ ছিল। এখন হতাশাটা না নিয়ে আমরা যেন পরের সুযোগটা নিতে পারি, সেই চেষ্টা করতে হবে।”
টেস্ট সিরিজে লড়াই করতে হলেও ব্যাটসম্যানদের সেই সুযোগটা নিতে হবে। কিংবা, ব্যাটসম্যানরা সুযোগটা নিলেই কেবল লড়াই হবে!