খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি ২০১৭: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন ঠিকানায় স্থানান্তরের পর নতুন নিয়মে শুরু হয়েছে ডিজিটাল পাসপোর্টের আবেদন। আরও বেশি সংখ্যক প্রবাসীকে সেবাদানে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এ নতুন নিয়ম চালু করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তারা রি-ইস্যু পাসপোর্টের জন্য ভিসার ফটোকপি সংযুক্ত করে যে ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে সে ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারবেন।
সাধারণ শ্রমিক এবং শিক্ষার্থীদের আবেদনের সঙ্গে ১১৬ রিংগিত এর ব্যাংক ড্রাফট এবং ভিসার ফটোকপি অথবা মাই ইজির ফিঙ্গারিংয়ের কপি যুক্ত করতে হবে। প্রফেশনাল ভিসা অথবা ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য দেশটিতে অবস্থানরতদের ৩৮৫ রিংগিতের ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন করতে হবে।
এছাড়া যাদের পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে তাদের বেলায় থানায় রিপোর্ট করে তার কপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী- পাসপোর্টের (নতুন) আবেদন গ্রহণ দুপুর ১২টা থেকে ৩টা, পুরনো পাসপোর্ট ৩টা থেকে বিকাল ৫টা; পাসপোর্ট বিতরণ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা; পাসপোর্টে জন্ম তারিখ ও সংশোধন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিতরণ পরের দিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
জন্ম নিবন্ধন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। বিতরণ পরের দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। পরিচয়পত্র, প্রত্যয়ন, এলওআই, পারিবারিক সনদপত্র সত্যায়ন, আমমোক্তারনামা ইত্যাদির আবেদন গ্রহণ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। বিতরণ পরের দিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। ট্রাভেল পারমিট সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টায় গ্রহণ এবং পরের দিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিতরণ।
মৃতদেহ সংক্রান্ত কেস আবেদন গ্রহণ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে প্রদত্ত তারিখে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টায় বিতরণ। শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, আইনগত সহায়তা এবং অন্যান্য কল্যাণমূলক কাজের জন্য সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টায় আবেদন গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে প্রদত্ত তারিখে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টায় বিতরণ।
ভিসা সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং বিতরণ সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে প্রদত্ত তারিখে বিকাল ৪টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়ন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। আবেদন গ্রহণ এবং বিতরণ একই দিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নিধারণ করা হয়েছে।
এদিকে দূতাবাসের সময় সূচি পরিবর্তনে দূর দূরান্ত থেকে আসা শ্রমিকদের কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আগত শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা বিভাগে নিযুক্ত ফার্স্ট সেক্রেটারি মশিউর রহমান বলেন, আমরা শ্রমিকদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। শ্রমিকদের সুবিধার্থে সময় সূচির পরিবর্তনের পাশাপাশি দ্রুত সেবা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া যারা দূরের প্রদেশগুলোতে অবস্থান করছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি প্রদেশে গিয়ে মোবাইল ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে পাসপোর্টের আবেদন ও ডেলিভারির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।