Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

4kখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭: প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। শুক্রবার বাদ ফজর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে এবারের ইজতেমা শুরু হয়।
বাদ ফজর উর্দূতে আম বয়ান করেন ভারতের হযরত মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খোরশেদ।
১৭টি জেলা থেকে সড়ক পথ, রেলপথ ও নৌপথসহ সব পথেই মুসল্লিদের কাফেলা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দিকে। বৃহস্পতিবার থেকে আসতে থাকা মুসল্লিদের ঢল শুক্রবারও অব্যাহত থাকে।
শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ইজতেমা ময়দানে বৃহত্তর জুমার নামাজের ইমামতি করবেন ঢাকার কাকরাইল মসিজদের খতিব হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের। বাদ আসর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ওয়াসিমুল ইসলাম। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন দিল্লির হযরত মাওলানা শওকত আলী।
শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় গাজীপুরসহ আশপাশের অঞ্চল গুলে থেকে থেকে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি জুম্মার নামাজ আদায় করতে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করবেন।
এবছর প্রথম পর্বে ১৭টি জেলা অংশ নেয়ায় চটের বিশাল শামিয়ানার নিচে মুসল্লিদের তেমন ঠাসাঠাসি নেই। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিদের অনেকে মূল প্যান্ডেলের নিচে বসেরই জুমার নামাজ আদায় করার সুযোগ পাবেন।
সকাল থেকে টঙ্গী ও এর আশপাশের লোকজন ইজতেমায় বৃহত্তর জুমার নামাজের জামাতে অংশ নিতে পায়ে হেঁটে ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন। শুক্রবার বাদ ফজর থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জিকির আসকার ইবাদত বন্দেগীতে টঙ্গী এখন এক পবিত্র পূণ্যভূমিতে পরিণত হয়।
মুসলমানদের অন্যতম বৃহত্তম সমাবেশ হলো এ বিশ্ব ইজতেমা। ইসলামের দাওয়াতী কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বিশ্ব ইজতেমা থেকেই দাওয়াতী কাজে বের হন।
এবারে প্রথম দফায় বিভিন্ন জেলার মুসল্লিদের জন্য পুরো ময়দানকে ২৭টি খিত্তায় (ভাগে) ভাগ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট খিত্তায় নির্দিষ্ট জেলার মুসল্লির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইজতেমা ময়দানে হামর্“, ইবনে সিনা, টঙ্গী ওষুধ ব্যাবসায়ী সমিতি, আবেদা মেমোরিয়াল প্রাইভেট হাসপাতাল লিমিটেড, সি কে ডি এন্ড ইউরোলজিস্ট হসপিটাল, যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্বাস্থ্য অধিদফতর, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনসহ ৫৪ ফ্রি মেডিকেল বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার জন্য ক্যাম্প খুলেছে।
ইজতেমার মুরুব্বীদের দেয়া তথ্যমতে, ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমার আয়োজন শুরু করা হয়। তারপর ১৯৪৮সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে ও ১৯৫৮সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬সালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমানস্থলে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে সরকারিভাবে তুরাগ তীরের ১৬০একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়।