খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭: বাংলাদেশে অবস্থান করা ভারতীয় শিক্ষার্থীদের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। চট্টগ্রামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিদ্যা বিভাগে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এ পরামর্শ দেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে শুক্র ও শনিবার তিনটি টুইট করেন সুষমা। টুইটে তিনি বাংলাদেশে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জানান, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে। শিক্ষার্থীরাও যেন ঢাকায় অবস্থিত দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন সম্পন্ন না হওয়ায় গত বুধবার থেকে চট্টগ্রামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অ্যাপ্লাইড হেলথ সায়েন্সেস অব দি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করছেন ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) নিবন্ধন না করায় তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আর এই বিষয় নিয়েই সুষমা ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
হিন্দুস্তান টাইমস এক খবরে জানায়, আগামী ২৩ জানুয়ারি এই শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার আগে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে রাজি নন।
এরপর একটি টুইটে সুষমা লেখেন, ‘আমি হর্ষ শ্রিংলার কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়টি অনুমোদনের চেয়ে বেশি ছাত্র ভর্তি করেছে। তবে বিষয়টির সন্তোষজনক একটি সমাধানের জন্য তিনি (শ্রীংলা) বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএমডিসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এবং শিক্ষার্থীরা যেন এ বিষয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ রাখেন।’
এদিকে, হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন না হওয়ায় ৪০০ ভারতীয় শিক্ষার্থীসহ মোট ১০০ জনের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। শুধু ভারতীয় শিক্ষার্থীই নয়, বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলংকার শিক্ষার্থীরাও এ সমস্যায় পড়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি আরো জানায়, এই একটি জটিলতার কারণে ওই শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনকেও হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। কারণ, বিএমডিসির নিবন্ধন ছাড়া ওই শিক্ষার্থীরা ভারতের মেডিকেল কাউন্সিলের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে চাকরি বা অনুশীলন করতে পারবেন না।