Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭: 13মুুহাম্মদ ওমর ফারুক, চকরিয় (কক্সবাজার) : চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের আওতাধীন চকরিয়া উপজেলার বরইতলী বনবিটের বনভূমিতে অবৈধভাবে নির্মাণ করা কয়েকশত বসতির মধ্যে ৩৫টি বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে পদুয়ার সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মতলুবুর রহমান, চুনতি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পদুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী আলাউদ্দিন, হারবাং ও বরইতলীর বিট কর্মকর্তা মোস্তাফিজুল হক, সাতগড় বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুছ, বারবাকিয়া বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, বরদোয়ারা বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ রইচ উদ্দিন, বড়হাতিয়া বিট কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন ছাড়াও অভিযানে ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবউল করিম, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম খান।
অভিযোগ রয়েছে কতিপয় বনকর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে চুনতি রেঞ্জের প্রত্যেক বনবিটের আওতায় বনভূমিতে কয়েক হাজার অবৈধ বসতি নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি পাহাড় কেটে মাটি ও বালি বিক্রয় নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠে। গতকাল শনিবার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় অভিযান শুরু হয়। অভিযানের প্রথম দিনে চার ঘন্টায় ৩৫টি বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়। এসময় শাহজাহান নামক এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ব্যবহৃত তিনটি কার্তুজের খোসা উদ্ধার হয়। এসিএফ মতলুবুর রহমান বলেন, অবৈধ বসতি উচ্ছেদের পর বেহাত হওয়া অন্তত ২৫ একর বনভূমি উদ্ধার হয়েছে।
বনভূমিতে অবৈধভাবে নির্মিত বসতি ও পাহাড় কাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, যেসব বিট বর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাদের সংশ্লিষ্ট বিট থেকে সরিয়ে নতুন কর্মকর্তা দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।