Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

N’ganj-7-murdersখোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭: তিন বছর পর নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলার রায় ঘোষণা আজ সোমবার। নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনে এ রায় ঘোষণা করবেন। মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে ২৩ জন। এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল রোববার দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে অপহরণ করা হয় তখনকার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ আরো পাঁচজনকে। একই সময়ে আরেকটি গাড়িতে থাকা প্রবীণ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার চালকেও অপহরণ করা হয়।

পরদিন নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি সে সময়ের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় অপহরণের মামলা করেন। ঘটনার তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল। বন্দর উপজেলা শান্তির চর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নজরুল ও চন্দনসহ ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সবার পেটে ছিল আঘাতের চিহ্ন; প্রতিটি লাশের সঙ্গে বাঁধা ছিল ইটভর্তি বস্তা। এরপরেই সেলিনা ইসলাম বিউটির অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

এরপর পহেলা মে সিরাজুল ইসলাম নামে আরও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ৪ মে নজরুলের শ্বশুর অভিযোগ করেন, র‌্যাবের তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফ হোসেন ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে সাতজনকে অপহরণের পর খুন করেন।

৭ই মে একই অভিযোগে আরেকটি মামলাটি করেন আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। ১১ই মে হাই কোর্ট তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়।
এর চারদিন পর মিলিটারি পুলিশের সহায়তায় ঢাকা সেনানিবাসের বাসভবন থেকে তারেক সাঈদ ও মেজর আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ। ১৬ই মে নৌ-বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা এম এম রানাকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছে তুলে দেন।