Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭:  27শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলায় যে সমস্ত কৃষকরা সরিষা চাষ করেছে তারা এবার বাম্পার ফলন পেয়েছে। আমন মৌসুম চাষের শেষে ২ মাস সময় জমিগুলি পতিত পরে থাকে। পরবর্তী মৌসুম বোর চাষ করার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু ওই দু’মাস পরিত্যক্ত জমিগুলিতে ফাঁক সময়ে এখন কৃষকরা সরিষা চাষ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ বেছে নিয়েছে। তাই শেরপুরের কৃষকেরা বোর ও আমন ফসলের ফাঁকে সরিষা চাষ করে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে কৃষকরা। আমন ধান কাটার পর উক্ত জমিগুলি পতিত পরে থাকে আর এই পতিত পরে থাকা জমির মধ্যে বাড়তি ফসল হিসাবে সরিষাকে বেছে নিয়েছে। সরিষা উৎপাদন করতে দেড় থেকে দু’মাস সময়ের মধ্যেই হয়ে যায়। তারপর উক্ত জমিতে অল্প চাষেই বোর চাষ করা কৃষকদের জন্য সহজ হয়। এতে বোর ফসলের ফলন ভাল হয়। কারণ ওই জমিগুলিতে সরিষা চাষ করার ফলে মাটি উর্বর ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। একদিকে যেমন ফাঁক সময়ে বাড়তি ফসল সরিষা উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে। অপরদিকে বোর ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পথ সুগম হচ্ছে। প্রতি একর জমিতে সরিষা আবাদ করে ১৫ থেকে ২০ মন পর্যন্ত সরিষা উৎপাদন হয়েছে। প্রতি মণ সরিষার মূল্য বর্তমান বাজার ১৫শ থেকে ১৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উক্ত বর্ধিত ফসল সরিষা থেকে কৃষকরা বাড়তি দিয়ে দরিদ্র প্রান্তিক কৃষকের সংসারের যাবতীয় চাহিদা মিটাতে অনেকটায় সহজ হয়েছে। উল্লেখ্য, এবছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ না থাকায় এবং আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমের অগ্রহায়নের শুরু থেকেই প্রচন্ড শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে সরিষা উৎপাদন ব্যাহত হয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে অগ্রহায়নের শুরু থেকে শীতের প্রকোপ ও ঘণ কুয়াশা না থাকায় সরিষা উৎপাদনে কোন প্রতিকুলতার সৃষ্টি হয়নি। এজন্য এবছর সরিষা বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা বেজায় খুশি। অত্র জেলার ৫টি উপজেলায় ৫-৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছে। তবে কৃষি বিভাগের সূত্রমতে উৎপাদনের লক্ষমাত্র কম বেশী হতে পারে।
এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা আলহাজ্ব মো. কোরবান আলী’র সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, কৃষকরা আমাদের কাছে এসে সরিষা উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে ভাল জাতের সরিষা চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে। এতে যেমনি কৃষকরা লাভবান হয়েছে, তেমনি দেশের সরিষা উৎপাদনে যোগান্তকারী ভূমিকায় সহায়ক হয়েছে। অল্প খরচে স্বল্প মেয়াদের সরিষা চাষে কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়ে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়েছে অত্র জেলার কৃষকরা।