Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

13খােলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭: খাওয়াদাওয়া ঠিকঠাক। নিয়মিত শরীরচর্চাও করছেন। ভাবছেন সব ঠিক আছে। কিন্তু, রোজ সাত ঘণ্টা ঘুমোচ্ছেন তো? তার চেয়ে কম ঘুম মানেই ঘোর বিপদ। ঘুমের মধ্যেই ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাক। এমনকী মৃত্যু পর্য়ন্ত হতে পারে।
ঘুম আসছে না? হাঁকাহাঁকি, ডাকাডাকি করেও ঘুম অধরা? ঘুমের আর দোষ কোথায়? শরীরের বেয়াড়াপনায় ঘুমও বলছে পালাই পালাই। শরীরের নাম যতই হোক মহাশয়, অবাধ্য লাইফস্টাইলে শরীরের দফারফা হবেই। আর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তো মারাত্মক বিপদ। কম ঘুম মানেই উদ্বেগ, ডিপ্রেশন, অল্পে বিরক্তি, খিটখিটে স্বভাব, মোটিভেশনের অভাব, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার অভাব, মনোযোগের অভাব, পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করার প্রবণতা বাড়তে থাকে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের দাবি, ঘুমের মধ্যেই ঘটে যাবে হার্ট অ্যাটাক। সুস্থ থাকতে খেলাধুলা, শরীরচর্চা কিছুই কাজে লাগবে না। যতই খান পুষ্টিকর খাবার, যতই ওজন রাখুন আয়ত্তে, ৭ ঘণ্টার কম ঘুম মানেই মৃত্যুকে হাতছানি দিয়ে ডাকা।
আমেরিকার ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের ঘুম বিশেষজ্ঞদের দাবি, ৩ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সীদের রাতে অন্তত ৯-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। টিনএজার অর্থাৎ‍ ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ঘুমোতে হবে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ অর্থাৎ‍ ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের ঘুম প্রয়োজন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা। ২৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের ঘুমোতে হবে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা। ৬৫ বা তার বেশি বয়সীদের নিউরনের একটি অংশ নষ্ট হতে থাকে। ফলে ঘুম কমে যায়। কিন্তু ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে।
৫ ঘণ্টার কম ঘুমোলে ব্লাড প্রেশার বাড়বে ৩৫০ থেকে ৫০০ শতাংশ। হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় ৩৯ শতাংশ। সারাদিন শরীর থাকবে ক্লান্ত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকবে। ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোলে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে ৮ শতাংশ। ৭ ঘণ্টা তে ঘুমোতেই হবে।
কিন্তু নানা কারণে যদি ঘুম না আসে, তাহলে উপায়? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঘুমের নির্ধারিত সময় মেনে চলতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। বেডরুমের তাপমাত্রা, আলো এবং শব্দ হতে হবে ঘুমের আদর্শ। বিছনা ও বালিশ হতে হবে আরামদায়ক। বর্জন করতে হবে অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে বেডরুমে সব বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বন্ধ করে দিতে হবে। তাহলেই ঘুম আসবে নিশ্চিন্তে।