Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭:  23মালির উত্তরাঞ্চলে একটি সেনা শিবিরে এক আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় ৬০ জন নিহত ও একশ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
বুধবারের এ হামলার দায় স্বীকার করে আল কায়েদার উত্তর আফ্রিকা শাখা জানিয়েছে, ফ্রান্সকে সহযোগিতা করায় ওই শিবিরের কয়েকটি গোষ্ঠীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
ওই দিন সকাল ৯টার একটু আগে হামলাকারীরা (অথবা হামলাকারী) তাদের গাড়ি নিয়ে ওই শিবিরটিতে জোর করে ঢুকে পড়ে, তারপর সোজা অ্যাসেম্বেলির জন্য জড়ো হওয়া সেনাদের ওপর গাড়ি তুলে দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়।
সেখানে প্রায় ৬০০ সেনা ছিলেন বলে জানিয়েছেন মালিতে মোতায়েন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র রাধিয়া আচৌরি।
বুধবার রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তৃতায় মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকার বলেছেন, “আমরা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবো। আমরা তোমাদের পরাজিত করবো। শেষ কথাটাও বলার সুযোগ পাবে না তোমরা।”
এ ঘটনায় তিনদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে মালি।
হামলার দায় স্বীকার করে দেওয়া এক বিবৃতিতে আল কায়েদা ইন দ্য ইসলামিক মাগরেব (একিউআইএম) জানিয়েছে, তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র আল মৌরাবিতুন গোষ্ঠী হামলাটি চালিয়েছে।
হামলাকারীর নাম আব্দুল হাদি আল ফুলানি বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এর আগে মালির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বোমা হামলাকারীর সংখ্যা পাঁচজন বলে জানিয়েছিল।
অভিজ্ঞ জঙ্গি মোখতার বেলমোখতারের নেতৃত্বাধীন আল মৌরাবিতুন মালি ও পশ্চিম আফ্রিকার সামরিক ও বেসামরিক লক্ষগুলোতে উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
একিউআইএম ও ম্যাসিনা লিবারেশন ফ্রন্টের সঙ্গে মিলে গোষ্ঠীটি ২০১৫ সালের নভেম্বরে মালির রাজধানী বামাকোর র‌্যাডিসন হোটেলে হামলা চালিয়ে ২০ জনকে হত্যা করেছিল।

২০১২ সালে মালির উত্তরাঞ্চলের মরুভূমি এলাকাগুলো দখল করে রাজধানী বামাকোর দিকে এগিয়ে আসছিল আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো। তাদের প্রতিরোধে ২০১৩ সালে মালিতে হস্তক্ষেপ করে ফ্রান্স। তাদের পাল্টা অভিযানে মালির উত্তরাঞ্চল থেকে হটে যায় জঙ্গিরা।