খােলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি ২০১৭: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের লাখ লাখ যুবশক্তির সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশে বাংলাদেশ বৈশ্বিক জ্ঞান এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগকে স্বাগত জানাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নিজেকে উদীয়মান বৈশ্বিক জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতির এমন অবস্থানে তুলে এনেছে যেখান থেকে উন্নয়নের পথে নানামুখী প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমাদের সরকার দেশকে ডিজিটালাইজেশনের পথে চালিত করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের লাখ লাখ যুবকের সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশে আমরা যেকোন প্রকার বৈশ্বিক জ্ঞান এবং ব্যবসা-বাণিজ্যকে স্বাগত জানাব। নিশ্চিতভাবেই এতে করে উভয় পক্ষই লাভবান হবে। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’র (ডাব্লিউইএফ) ‘ডিজিটাল লিডারস’ পলিসি মিটিং অন জব’ শীর্ষক সেশনে বিশেষ অতিথির ভাষণে একথা বলেন। স্থানীয় শেরাটন হোটেলে এই সেশনটি অনুষ্ঠিত হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সাফল্যগাঁথা সকলের সামনে উপস্থাপনের জন্য এবছর ডব্লিউইএফ তাদের বিশেষ অতিথি এবং প্যানেল আলোচক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মনোনীত করে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের কারণে বাংলাদেশ তাঁর যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটাতে চায়।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজ এবং বহি:বিশ্বের সঙ্গে জ্ঞান ও প্রযুক্তির সেতুবন্ধন করাই আমাদের লক্ষ্য।তিনি বলেন, বর্তমান সময় থেকে অন্তত আগামী ৩ দশক পর্যন্ত আমরা জনসংখ্যার একটি বড়ো অংশ হিসেবে পাবো যুব সমাজ, দেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বয়স ১০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জনগণ যেকোন প্রযুক্তি বিশেষ করে বর্তমানকালের তথ্য প্রযুক্তি যেন দ্রুত গ্রহণ করতে পারে তেমনি এর সঙ্গে খাপ খাওয়াতেও পারে। তিনি বলেন, বিশ্বেে াবাইল ফোন ব্যবহারকারী হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান ১০ম স্থানে। ৬ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। যার অধিকাংশই স্মার্টফোনের সাহায্যে।শেখ হাসিনা বলেন, এই সপ্তাহজুড়ে ডাভোসের আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে আগামীর উৎপাদন, কর্মকান্ড, প্রযুক্তি এবং এ সম্পর্কিত নানা বিষয়। ডব্লিউইএফ নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াব ব্যাখ্যা করেছেন পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন বিশ্বের কর্মপন্থা এবং উৎপাদন ব্যবস্থা পরিবর্তিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, হ্যাঁ, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তি আমাদের জীবন এবং জীবনমানকে উন্নত করেছে। সকলে যেন এই পরিবর্তনের ছোঁয়া পায় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে প্রযুক্তি আমাদের উন্নয়নের জন্য তা যেন কোনভাবেই বিঘœ সৃষ্টির কারণ না হয়।