Wed. Jun 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি ২০১৭: 9ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর কী করবেন না করবেন, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তার যেমন শেষ নেই, তেমনি হোয়াইট হাউস থেকে বিদায়ের পর বারাক ওবামা কী করবেন, তা নিয়েও জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই। আজ শুক্রবারই এ পদে ট্রাম্পের প্রবেশ আর ওবামার প্রস্থান ঘটছে।
অন্য অনেক সাবেক প্রেসিডেন্টের মতো ওবামা হয়তো লেখালেখি করবেন; অথবা তিনি যেহেতু আইন নিয়ে পড়ালেখা করেছেন, তাই তিনি হয়তো এ বিষয়ে শিক্ষকতা কিংবা বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন; অথবা তিনি হয়তো জনসেবামূলক কোনো কাজে আত্মনিয়োগ করবেন। তবে তিনি যা-ই করুন না কেন, সব কিছুর আগে তিনি হোয়াইট হাউস ত্যাগের পর একটু বিরতি নিতে চান।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেছেন, ‘আমি খানিকটা সময়ের জন্য চুপচাপ থাকতে চাই। আমি রাজনৈতিকভাবে নীরবতার কথা বলছি না, আমি আমার ভেতরের কথা বলছি। আমার নিজেকে শান্ত করা দরকার। ‘ তাই ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে তিনি ছুটি কাটাতে সপরিবারে ক্যালিফোর্নিয়ার পাম স্প্রিংসের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন। তারপর? ছুটি কাটিয়ে ওবামা আবার রাজধানীতেই ফিরবেন। ছোট মেয়ে সাশার স্কুল শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ক্যালোরামায় ভাড়া বাড়িতে থাকবেন।
আপাতত ওবামার বাসস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলেও তাঁর পরবর্তী কর্মজীবন সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করলেও এসংক্রান্ত পেশায় নামবেন না, সেটা তিনি জানিয়েছেন ২০১৪ সালেই। বিচারক হওয়াটা তাঁর জন্য একটু বেশিই সন্ন্যাস যাপনের মতো, বলেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি এটাও বলেছিলেন, ‘আমি শিক্ষকতা ভালোবাসি। ক্লাসরুম আর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মেলামেশার কথা খুব মনে পড়ে। ‘ না বললেই নয়, প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন। ২০১৫ সালে তিনি একবার বলেছিলেন, দরিদ্র শিশুদের নিয়ে কাজ করতে চান তিনি। ‘এটা আমার এবং মিশেলের ব্রত হয়ে থাকবে। যত দিন প্রেসিডেন্ট পদে আছি, কেবল তত দিনই নয়, আমার সারা জীবনের ব্রত হয়ে থাকবে এটা’—বলেছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমগুলো অবশ্য বলছে, ওবামা স্রেফ লেখালেখি করে দুই কোটি ডলারের বেশি আয় করতে পারেন। ইতিমধ্যে তিনি দুটি বই লিখেছেন এবং দুটিই পাঠকসমাজে সমাদৃত।
ওবামা আর যা-ই করুন, তিনি একঘেয়ে রাজনৈতিক জীবনে আর প্রবেশ করতে চান না। তবে গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে কখনো তিনি পিছপা হবেন না। একই সঙ্গে ডেমোক্রেটিক পার্টি পুনর্গঠনেও তিনি সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করবেন। সিএনএনকে তিনি বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, শুধু রাজনীতিতে নয়, নাগরিক জীবনেও আগামী প্রজন্মের কণ্ঠস্বরকে বিকশিত ও শক্তিশালী করে তুলতে আমি সব কিছু করব। ‘